ঈদ সামনে রেখে মুখরিত শেরপুরের কামার পল্লী
শহিদুল ইসলাম শাওন শেরপুর( বগুড়া)
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে মুখরিত বগুড়ার শেরপুরের কামার পল্লী। যেন তাদের দম ফেলার ফুরসত নেই। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর, খামারকান্দি, মির্জাপুর, ভবানীপুর, বিশালপুর, কুসুম্বী, গাড়িদহ সহ প্রায় সব হাটবাজারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারশিল্পীরা। শেরপুর উপজেলার বহু পুরনো খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালি হাট ভবানীপুর ইউনিয়নের আমতলা বাজারের কামারপল্লী এখন লোহা ও হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে সবচেয়ে বেশি মুখরিত। হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, চাকু, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি। অনেকে আবার বাড়িতে থাকা পুরাতন দা-বঁটি, ছুরি সান দেওয়ার জন্য নিয়ে আসছেন তাদের কাছে। সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টাতে বেড়ে যায় তাদের কর্মব্যস্ততা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালি হাট মির্জাপুর হাট,ভবানীপুর ইউনিয়নের আমতলা বাজার, ছোনকা হাটের কামার পল্লী সহ বিভিন্ন স্থানে এ সব সরঞ্জাম তৈরি করা হচ্ছে। দোকানগুলোতে প্রতি পিস চাকু ১০০-২৫০ টাকা, দা ৪০০-৬০০টাকা, ৫০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি, জবাই ছুরি ৮০০-১২০০ টাকাএবং বটি ৩০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কয়েরখালি হাটের কর্মকার ফেরদৌস জামান ও ভবানীপুর আমতলা বাজারের কর্মকার আব্দুস সামাদ জানান, আমার বাবা দীর্ঘদিন এই পেশা করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। আমরাও অনেক বছর ধরে বাবার এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে আছি । এখন নতুন ছুরি ও চাপাতি তৈরী করছি। ঈদের একদিন আগে সবার বাড়ির পুরাতন দা বটি মেরামত ও ধার কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পরবো।
শেরপুর বারোদুয়াড়ী হাটের কর্মকারেরা জানান, সারা বছর টুকটাক বেচাকেনা হলেও প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ভালো বেচাকেনা হয়। কোরবানির ঈদ এখনো প্রায় ৩/৪দিন বাকি। তবে ঈদের দুই দু- এক দিন আগে থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।