বেলকুচিতে লকডাউনের প্রভাব পড়েনি গ্রামীন জনপদে
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের শুরু থেকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকায় প্রশাসনে ভূমিকা চোখে পরার মত। সকালে পৌর সভার চালা বাজার, মুকুন্দগাঁতি বাজার ও তার আশপাশের এলাকা দফায় দফায় অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সহ পৌর অঞ্চলের সদরে প্রশাসনের তৎপরতায় কঠোর লকডাউনের প্রভাব পরলেও উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া, দৌলতপুর বাজার, ধুকরিয়া বেড়া ইউনিয়নের ধুকুরিয়া বাজার, সাতলাঠি বাজার সহ আশপাশের এলাকায় লকডাউনের কোন প্রভাব দেখা যায়নি।
এসব এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারগুলোতে মানুষ গাদাগাদি করে তাদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে আছে। কারণে অকারণে মানুষ বাহিরে চলাফেরা করছে। কারো মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্বতার কোন বালাই নেই। এদের চলাফেরার ধরন দেখে মনে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে এদের কোন ধারণাই নেই।
এবিষয়ে বেলকুচি উপজেলার ধুকরিয়া বেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান শামীম জানান, গ্রামের মানুষের মাঝে করোনা সচেতনা একটু কম থাকায় তারা এলোমেলো ভাবে চলা ফেরা করছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি এদের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধি করতে।
গতকাল ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) উপজেলা পরিষদে করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা হয়েছে। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে আমরা নিজ নিজ এলাকায় করোনা সংক্রম ঠেকাতে মাইকিং সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
এদিকে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, সরকারি দেওয়া আদেশ অনুযায়ী আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করছি মানুষকে বিনা করাণে যাতে বাহিরে না থাকে। সেই জন্য আমরা প্রতিদিন হাট-বাজার, মার্কেট সহ বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।