সৌদি আরবে ঐতিহাসিক ‘শিফা’ কূপ
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চৌহালি
২৯-১২-২০২৩ ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
|
|
সৌদি আরবে ঐতিহাসিক ‘শিফা’ কূপ
আব্দুল লতিফ
হজের সফরে সম্মানিত হজযাত্রীরা নবীজি (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত যেই মোবারক জায়গাগুলো জিয়ারত করেন,তার অন্যতম হলো বিরে শিফা’বা ‘শিফা কূপ’। পবিত্র জমজম কূপের পানির পর এই কূপের পানি পৃথিবীর অন্যতম পবিত্র ও স্বাস্থ্যকর পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবীজি (সা.)-এর থুতু মোবারকের বরকতপ্রাপ্ত এই কূপের পানি পান করে অনেকে বিভিন্ন আরোগ্য লাভ করেছেন বলে বিভিন্ন কিতাবে পাওয়া যায়। এ জন্য এই কূপকে ‘বিরে শিফা’ বলা হয়।
বির’ মানে কূপ আর ‘শিফা’ মানে আরোগ্য। অনেকেই বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্যের আশায় এই কূপের পানি বোতলে সংগ্রহ করে দেশে নিয়ে যান।আমিও আমার পরিবারের জন্য এবং এলাকার বন্ধু বান্ধবের জন্য পানি নিয়ে আসছিলাম।
যেভাবে এই কূপ বরকতময় হলো : ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ শেষে নবীজি (সা.) যখন সাহাবায়ে কেরামদের নিয়ে মদিনার যাত্রাকালে বদর প্রান্তর এবং মদিনার মাঝামাঝি এক স্থানে যাত্রাবিরতি করেন। সফর ও যুদ্ধের ধকলে ক্লান্ত এই কাফেলায় তখন চলছিল পানির সংকট।
মরু অঞ্চলে পানি পাওয়া দুষ্কর। যে কারণে সাহাবায়ে কেরাম পিপাসায় অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। কিছু সাহাবি অসুস্থতাও অনুভব করতে লাগলেন। তখন সাহাবায়ে কেরাম রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে পানির সংকট ও পিপাসার কথা জানালেন।
তখন নবীজি (সা.) একটি পাথরের ওপর বসেছিলেন। পাথরের পাশেই একটি কূপ ছিল, সাহাবায়ে কেরাম সেই কূপ থেকে পানি উত্তোলন করে দেখেন সেই পানি মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ত। বিষয়টি নবীজি (সা.)-কে জানানো হলো। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের থুতু মোবারক কূপের মধ্যে নিক্ষেপ করলেন। মুহূর্তেই কূপের গভীরে থাকা পানি অনেকটি ওপরে ওঠে আসে এবং লবণাক্ত পানি মুহূর্তেই সুমিষ্ট পানিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
যা পান করতেই সাহাবায়ে কেরাম সতেজতা ও সুস্থতা অনুভব করলেন।
ঐতিহাসিক এই মোবারক কূপ পবিত্র মদিনা থেকে ১০২ কিলোমিটার দূরে বদর যাওয়ার পথে মূল সড়ক থেকে হাতের ডানে সাত কিলোমিটার ভেতরে। বর্তমানে সেখানে কূপসংলগ্ন একটি ছোট্ট মসজিদ রয়েছে।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চৌহালি ২৯-১২-২০২৩ ০৩:৫৮ অপরাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে
এবং 87 বার দেখা হয়েছে।
পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ