যাদের নাম মন্ত্রীসভায় দেখতে না পেয়ে মন পুড়েছে ভক্তদের
২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন

  

যাদের নাম মন্ত্রীসভায় দেখতে না পেয়ে মন পুড়েছে ভক্তদের

আব্দুল জলিল
১১-০১-২০২৪ ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
যাদের নাম মন্ত্রীসভায় দেখতে না পেয়ে মন পুড়েছে ভক্তদের

স্টাফ রিপোর্টারঃ একের পর এক উন্নয়নের চমক আর মানুষের জীবনমান উন্নয়নের চমক দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মন জয় করে টানা পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। সেইসাথে বিশ্বব্যাপী তার জনপ্রিয়তার পারদও এখন তুঙ্গে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এরইমধ্যে ঘোষিত হয়েছে নয়া মন্ত্রীসভার সদস্যদের নাম। বাদ পড়েছেন অনেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী। নতুন মুখও যোগ হয়েছে অনেক। কিন্তু যাদের নাম সাধারণ ভোটারগণ মন্ত্রীসভায় না দেখে চমকে ওঠে তাদের নিয়ে এই প্রতিবেদন। বাংলা পোর্টালের সৌজন্যে আমরা জানাতে চাই...

ইয়াফেস ওসমান টানা চতুর্থবারের মতো মন্ত্রী হচ্ছেন আজ। ২০০৯ সালে তিনি প্রথম বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। এরপর তিনি পদোন্নতি পেয়ে পূর্ণমন্ত্রী হন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি চতুর্থ দফায় মন্ত্রী হচ্ছেন। একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ এত দীর্ঘ সময় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেননি। ইয়াফেস ওসমানের বার বার মন্ত্রী হওয়া যেমন এক ধরনের অলৌকিক ঘটনা ঠিক তেমনই অলৌকিক ঘটনা আওয়ামী লীগের কিছু ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের কখনোই মন্ত্রিত্বের স্বাদ না পাওয়া

আওয়ামী লীগের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা মির্জা আজম। মির্জা আজম এবার সপ্তমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। সাত বারের এমপি-তে তিনি একবার মাত্র পাট বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাকি সময় তিনি হুইপ বা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মির্জা আজম সম্ভবত সেই বিরল জনপ্রিয় নেতাদের একজন যিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা থাকার পরও কখনো পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাট বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সময় তিনি যথেষ্ট মেধা এবং দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি মন্ত্রিসভায় ডাক পান না কেন এটা আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছে এক বড় প্রশ্ন

মাহবুবউল আলম হানিফ আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় নেতার অন্যতম। বিশেষ করে ২০০৯ সালের পর আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতারা পাদপ্রদীপে এসেছেন এবং নিজ যোগ্যতায় তার স্থান করে নিয়েছেন তাদের মধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ অন্যতম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি হননি। আসনটি তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু কখনোই তিনি মন্ত্রী হতে পারেননি

মন্ত্রী হতে পারেননি আওয়ামী লীগের তুমুল জনপ্রিয় নেতা বাহাউদ্দিন নাছিমও। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাহাউদ্দিন নাছিম মনোনয়ন পাননি। এবার তিনি মতিঝিল আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। মন্ত্রিসভার গঠনের সময় তার নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি। একই ভাবে প্রশ্ন উঠেছে যে বাহাউদ্দিন নাছিমরা কেন মন্ত্রী হন না? একদিকে যেমন তিনি জনপ্রিয় অন্যদিকে সৎ, নিষ্ঠাবান এবং সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। তার এত সব কিছুর পরও মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে কেন পিছিয়ে থাকেন বাহাউদ্দিন নাছিম সেই প্রশ্ন অনেকে করেন

তানভীর শাকিল জয় জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর দৌহিত্র এবং মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম যখন নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ছিলেন তখন তানভীর শাকিল জয় ওই আসনে নির্বাচন করেছিলেন এবং হয়েছিলেন। এছাড়াও মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন। এবার তিনি আবার এমপি হিসাবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগে যখন অনেক তরুণদেরকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হচ্ছে তখন তানভীর শাকিল জয় কেন অপাঙ্ক্তেয় এই প্রশ্ন উঠেছে

কাজী নাবিল আহমেদ কাজী শাহেদ আহমেদের পুত্র। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে কঠিন দিনে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলেছিলেন তাদের অন্যতম কাজী শাহেদ আহমেদ। কাজী শাহেদ আহমেদের খবরের কাগজআজকের কাগজনতুন প্রজম্মকে বঙ্গবন্ধুর কথা জানিয়েছিল। কাজী শাহেদ আহমেদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। কিন্তু অপূর্ণতা পূরণ করেছেন কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এবারও এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এমপি হলে কী হবে মন্ত্রীর হওয়ার মতো সব যোগ্যতা থাকার পরও তিনি মন্ত্রিত্বের দৌড়ে অপাঙ্ক্তেয়। কেন তিনি মন্ত্রী হতে পারেন না এই প্রশ্ন অনেকের।

প্রাণ গোপাল দত্ত আওয়ামী লীগের জন্য একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বিভিন্ন কঠিন সময়ে তিনি আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন। বিশেষ করে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার পর তার ভূমিকা উজ্জ্বল। প্রাণ গোপাল দত্ত একাধিকবার এমপি হওয়ার পরও মন্ত্রিত্বের স্বাদ পাননি। তারা কেন মন্ত্রী হন না-এই প্রশ্ন কর্মীদের মধ্যে। অবশ্য মন্ত্রী করা না করা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। তিনি কাকে মন্ত্রী করবেন না করবেন এটা একান্তই তার সিদ্ধান্ত।


আব্দুল জলিল ১১-০১-২০২৪ ০৫:৩৪ অপরাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে
এবং 189 বার দেখা হয়েছে।

পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ
Loading...
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বশেষ প্রকাশিত

  

  ঠিকানা :   অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
  মোবাইল :   ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
  ইমেল :   info@sirajganjkantho.com