শিরোনামঃ
![]() ১২-০৭-২০২১ ০২:০৫ অপরাহ্ন |
ফাইনালটা ফাইনালের মতোই হলো। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা কাটাতে পারল না ইংল্যান্ড-ইতালির কোনো পক্ষই। অতিরিক্ত সময়েও হলো না গোল। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
ওয়েম্বলির স্টেডিয়ামে তখন টানটান উত্তেজনা। সবার নজর দুই গোলরক্ষকের দিকে- ইংল্যান্ডের জর্ডান পিকফোর্ড নাকি ইতালির জিয়ানুইজি ডোমারোমা? কে হবেন নায়ক?
ইতালির হয়ে প্রথম শট করেন ডোমিনিকো বেরারদি। প্রথম শটে গোল। ইংল্যান্ডের প্রথম শটে গোল করে টাইব্রেকারে সমতা ফেরান হ্যারি কেইন।
এরপরই ইতালির ভুল। আন্দ্রে বেলোত্তির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে পরের শটে গোল করেন হ্যারি মাগুইরে। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড, সম্ভাবনা তখন ঝুঁকে পড়েছে স্বাগতিকদের দিকে।
তৃতীয় শটে লিওনার্দো বোনুচ্চি গোল করে ইতালিকে লড়াইয়ে ফেরান। জবাবে মার্কাস রাশফোর্ডের শট লেগে যায় পোস্টে। টাইব্রেকারে তিনটি করে শট শেষে ২-২ সমতা। বোঝা যাচ্ছে না, কার দিকে ঝুঁকবে ম্যাচ।
এমন সময়ে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ইতালির গোলরক্ষক ডোনারোমা। ফেদেরেকো বেরনারডেসচি গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়ার পর ইংল্যান্ডের জাদোন সানচোর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন ডোনারোমা।
নায়ক হতে পারতেন পিকফোর্ডও। পিছিয়ে পড়া দলকে যে আশার আলো দেখিয়েছিলেন ইংলিশ গোলরক্ষক। জর্জিনহোর পঞ্চম শটটি আটকে দিয়েছিলেন তিনি। শেষ শটে বুকায়া সাকা গোল করতে পারলেই ফিরতো সমতা, সাডেন ডেথে গড়াতো ম্যাচ।
কিন্তু ম্যাচের ফল নির্ধারণী সেই শটটি ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন ডোনারোমা। আর ওই এক ঝাঁপেই ৫৩ বছর পর ইউরোর অধরা শিরোপা ধরা দিল ইতালির। এমন এক ম্যাচে নায়ক হলেন, ডোনারোমার জন্য এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী!
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com