শিরোনামঃ
![]() ১১-০৭-২০২১ ০১:৩৭ অপরাহ্ন |
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের কারখানা শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবছর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অসংখ্য শ্রমিকদের জীবন যায়। কিন্তু আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায় দোষীরা। ফলে থামছে না অগ্নিকাণ্ড, থামছে না মৃত্যুর মিছিল।’
রোববার (১১ জুলাই) এক বিবৃতিতে জাপা চেয়ার চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে জিএম কাদের বলেন, ‘প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়। প্রতিবেদন আসে, তাতে কিছু সুপারিশও থাকে। কখনো জনগণ সেটা জানতে পারে, কখনো তা গোপনই থেকে যায়। তবে বাস্তবায়ন হয় না বললেই চলে। প্রায় ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায় দোষীরা। ফলে থামছে না অগ্নিকাণ্ড, থামছে না মৃত্যুর মিছিল।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ বছরে অগ্নিদুর্ঘটনায় দেশে ২ হাজার ৩১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে একটি বিশাল অংশই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ।
তিনি বলেন, ‘২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের ১১৭ জন পোশাকশ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। আহত হন ২০০-এর বেশি শ্রমিক। প্রতিটি দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষের মৃত্যুতে দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।’
জিএম কাদের বলেন, ‘বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি হয় না, কারখানা তৈরিতে মানা হয় না সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও। অগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকে না কারখানায়। তদারকি নেই, আর দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। এ কারণেই কারখানায় আগুন লাগলে রেহাই মেলে না শ্রমিকদের। তাই অগ্নিকাণ্ড কমাতে এবং শ্রমিকদের জীবন বাঁচাতে সরকারকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com