শিরোনামঃ
![]() ০৪-০৭-২০২১ ০৩:৫৩ অপরাহ্ন |
গাইবান্ধার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, বাঙ্গালী, কাটাখালী, করতোয়াসহ বেশ কয়েকটি ছোট-বড় নদ-নদী। এই নদী বেষ্টিত ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবার পাট চাষ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। বন্যার আশঙ্কায় সময়ের আগেই পাট কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
রোববার (৪ জুলাই) সকালে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার। আলাই নদী বেষ্টিত দলদলিয়া গ্রামে তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি জানান, ১৫ দিন পর কাটলে পাটের আঁশ পরিপক্ব হতো। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে পাট ক্ষেতে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। কি আর করার বাধ্য হয়ে পাট কাটতে হচ্ছে।
পাটচাষি আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার বলেন, ‘রাতভর বৃষ্টি। ঘুম থেকে উঠে দেখি পাট ক্ষেতে পানি উঠেছে। পরে ১০ জন শ্রমিক দিয়ে পাট কাটতে শুরু করি। এই জমিতে গত বছর পাটের অনেক ভালো ফলন হয়েছিল। এখনো পাট কাটার সময় হয়নি। কিন্তু বন্যার শঙ্কায় দ্রুত কাটতে শুরু করেছি।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের পাটচাষি ময়িন উদ্দিন বলেন, ‘পাটের বীজ রোপণের সময় প্রাকৃতিক আবহাওয়া অনুকূল ছিল না। তাই অনেকেই সেচ দিয়ে পাট বীজ রোপণ করেছি। নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাট কাটতে হচ্ছে। কারণ গত বছর বন্যায় পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।’
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের পাটচাষি আব্দুল কাদের বলেন, ‘প্রতি বছর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা বেষ্টিত চরে শত শত বিঘা জমিতে পাট চাষ করা হয়। হঠাৎ বন্যায় পাট তলিয়ে যাওয়া আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ বছর দ্রুত পাট কাটতে হচ্ছে।’
সাঘাটা উপজেলা পাট অধিদফতরের উপজেলা কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, ‘এ বছর সাঘাটা উপজেলার ২৪০০ কৃষকের মাঝে সার ও পাটের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে কৃষকদের পাট চাষমুখী করতে আরও বেশি কৃষকের মাঝে সার ও বীজ দেয়া হবে।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে জেলার নদী বেষ্টিত নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও এখনো ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, করতোয়াসহ সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বছর জেলার ৭ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।’
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com