শিরোনামঃ
![]() ১১-০৬-২০২১ ০৬:৩৮ অপরাহ্ন |
কোচ মেহরাব অপির কথা শুনে মনে হচ্ছিল তার লক্ষ্য, পাওয়ার প্লে‘তে যতটা সম্ভব কম উইকেট খুইয়ে ৪০-এর ওপর রান তোলা। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আর আব্দুল মজিদ (এ ম্যাচে নাদিফ চৌধুরীর বদলে একাদশে ঢোকা) সে কাজটিই করে দিয়েছেন।
পারভেজ ইমন ৬ নম্বর ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে না দিলে হয়তো প্রথম ৬ ওভার উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দিতে পারতো মোহামেডান। টি-টোয়েন্টিতে ৬ ওভারে ৪০ রান কিছু না। তবে মোহামেডান ওপেনারদের ব্যাটিং আ্যাপ্রোচ দেখে মনে হলো তারা টিম প্ল্যান অনুযায়ী খেলেছেন।
সেটা যে আগের দিনের ব্যাটিং ‘বিভীষিকার’ (২৭ রানে ৬ উইকেট) ধকল কাটিয়ে উঠতে, তা বোঝাই গেল। মানে জয়-পরাজয় এবং চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আবাহনীকে চাপে ফেলার চেয়েও মোহামেডানের প্রথম লক্ষ্যই ছিল প্রথম অংশে যতটা সম্ভব কম উইকেট খোয়ানো।
সে লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে সফল হলেও আবাহনীর পেসার স্বাধীন আকাশ বোলিংয়ে আসার পর থেকেই উইকেট পড়তে থাকে। এ পেসার নিজের প্রথম আর মোহামেডান ইনিংসের দশম ওভারে পতন ঘটান দুই উইকেটের। তার বলে প্রথম আউট হন আব্দুল মজিদ। স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হন মোহামেডান ওপেনার (১৮ বলে ১৬)।
আর তিন বল পরে শর্ট বলে হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন ইরফান শুক্কুর (১৪ বলে ১৪)। এরপর মোহামেডান যতটা আগায়, তা অধিনায়ক সাকিবের হাত ধরেই।
এবারের লিগে আগের ৬ ম্যাচে (সর্বোচ্চ ২৯) সবমিলিয়ে ৭৩ রান করা সাকিব আজ প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছেন উইকেটে টিকে থাকতে। প্রথম দিকে অনেকটা সময় সিঙ্গেলস ডাবলসে খেলে একটা পর্যায়ে গিয়ে হাত খুলে খেলে রান গতি বাড়ানোর চেষ্টা ছিল মোহামেডান অধিনায়কের।
১৫ ও ১৬ নম্বর ওভারে আরাফাত সানি আর আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে যথাক্রমে লং অন আর ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দেন সাকিব।
এর মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বলকে ওপরে পেয়ে লং অনের ওপর দিয়ে তুলে দেন। বল আছড়ে পড়ে সীমানার ১০ গজ ওপারে। লেগস্পিনার আমিনুল বিপ্লবের বলে হাঁকানো পরের ছক্কাটি আসে পুল শটে। কিন্তু তারপরই ছন্দপতন।
পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে স্লগ করতে গিয়ে টপএজ হয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরা। অধিনায়ক যখন ২৭ বলে ৩৭ রান করে (১ চার আর ২ ছক্কায়) আউট হন তখনও ইনিংসের ২০ বল বাকি। হাতে ছিল ৫ উইকেট।
কিন্তু মোহামেডানের পরের দিককার ব্যাটসম্যানরা বিশেষ করে অভিজ্ঞ শামসুর রহমান শুভ আর শুভগতহোম মাত্র ১ রানে ফিরলে রান গতি বাড়েনি। তবু মাহমুদুল হাসান লিমন ২২ বলে ৩০ আর আবু হায়দার রনি ৭ বলে ১২ রান করায় রান ১৪৫-এ গিয়ে ঠেকেছে।
আবাহনী বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল স্বাধীন আকাশ। ৩ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। দারুণ বোলিং করেছেন যুব তারকা তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে শিকার করেছেন ২ উইকেট।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com