শিরোনামঃ
![]() ০৪-০৪-২০২১ ০২:১৩ অপরাহ্ন |
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজতের তাণ্ডবের সময় ঘোড়ায় চড়ে তলোয়ার নিয়ে হাঁটতে দেখা ব্যক্তিকেও ধরা হয়েছে। আমরা একজনকে দেখেছি পিস্তল উঁচু করে ফায়ার করেছেন । আমরা সবাইকে শনাক্ত করেছি এবং ধরছি। কাউকে বাদ দেবো না। আইন অনুযায়ী আমরা সবার ব্যবস্থা গ্রহণ করব ইনশাল্লাহ।
হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের প্রসঙ্গে ৩০০ বিধিতে রোববার (৪ এপ্রিল) সংসদে দেয়া বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে হেফাজতের তাণ্ডবে সময় কোথায় কী ঘটেছে এবং কতজন লোক মারা গেছে তার বিবরণ তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের ভিডিওফুটেজ আমাদের কাছে আছে। ইতোমধ্যেই আমরা ২২ জনকে আটক করেছি।
এর আগে তিনি বলেন, ২৬ তারিখ ছিল আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি পালনের জন্য আমাদের সব বাংলাদেশি তো বটেই বিদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল এবং একাত্মতা ঘোষণা করেছিল। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরাও মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিল । সেদিন আমাদের দোয়া মাহফিলের আয়োজন বায়তুল মোকাররম মসজিদেও হয়েছিল। সেখানে আমরা লক্ষ্য করলাম নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয়েকজন ছোটাছুটি করছেন এবং আমাদের নেতাকর্মীরা যেখানে বসা ছিলেন সেখানে দৌড়ে আসছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ওই জায়গাতে ত্যাগ করলেও পরবর্তীতে দেখা গেল বৃষ্টির মতো ঢিল বর্ষণ করা হচ্ছে। এটা ছিল অহেতুক, অযথা। শুধু এখানেই তারা শান্ত হননি। সারাদেশে বিভিন্নভাবে গুজব রটিয়ে দেয়া হলো। সেখানে তাদের মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এই গুজবের সূত্র ধরে অনেক জায়গায় সহিংস ঘটনা আমরা লক্ষ্য করি।
তিনি বলেন, আমরা ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারী মাদ্রাসা, সিলেট, নারায়ণগঞ্জে সব জায়গাতেই দেখলাম এই গুজবকে ভিত্তি করে সহিংসতা দেখেছি। আমরা লক্ষ্য করলাম আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করছিল । হাটহাজারীতে ২৬ মার্চ এ গুজবকে কেন্দ্র করে সেখানকার মাদ্রাসার ছাত্ররা বের হয়ে এসে আমাদের থানা আক্রমণ করে। সেখানে পাশেই এক বাংলোতে আমাদের পুলিশের একজন বিসিএস ক্যাডারের নতুন চাকরিতে জয়েন করেছেন তাকে মেরে আহত করা হয়। তিনি সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।
তারপর হাটহাজারী থানা আক্রমণের দৃশ্য আমরা দেখলাম। পুলিশ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তারা এই আক্রমণ চালালো এবং পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের জানমাল রক্ষা করার জন্য গুলি করল। ২৬ মার্চ ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন। এই উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়ার পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে এসে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর শুরু করা হয়। সেখানেও একজন মৃত্যুবরণ করেন ।
তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,পরিস্থিতি যখন অরাজকতার দিকে যাচ্ছিল তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে ফায়ার ওপেন করে। ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত জন মৃত্যুবরণ করে। ২৮ মার্চ ঠিক একইভাবে সেই সহিংসতার কারণে আরও ৫ জন মৃত্যুবরণ করে। সব মিলে মোট মৃতের সংখ্যা হলো ১৭ জন।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com