শিরোনামঃ
![]() ২১-০৩-২০২১ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন |
কিছু হলেই সমালোচনা। সাকিব আল হাসান এসব নিয়ে এখন আর ভাবেন না। যে কোনো সময় এই প্রসঙ্গ আসলেই সাকিব সেটা বলেন। মাঝেমধ্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন। শনিবার এই লাইভ অনুষ্ঠানে এসে তিনি আক্ষেপ নিয়েই বললেন, আমরাই জাতি হিসেবে নিজেদের নিজেরা উন্নতির সুযোগ করে দিচ্ছি না।
সাকিব মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে স্বভাবজাত একটা প্রবণতা আছে-বিদেশিদের অনেক মূল্যায়ন করা। কিন্তু নিজের দেশের বড় কাউকেও আমরা প্রাপ্য সম্মানটা দিতে পারি না।
সাকিবের বলেন, ‘নির্মম সত্যটা হচ্ছে, যখন আমাদের দেশে বাইরের কেউ খেলতে আসে, আমরা তাদের স্যার-হুজুর করতে থাকি দু’একজন ছাড়া। যারা অল্প কটা ম্যাচ খেলেছে বা খেলেওনি তাদের সাথে আমরা এমন করি। অথচ আমাদের দেশে যারা ৫/৭/১০ বছর খেলেছে বা খেলছে, তাদের আমরা শ্রদ্ধা করি না। আমার দেশের মানুষই যদি আমাকে শ্রদ্ধা না করে বোর্ড না করে। তাহলে উন্নতিটা হবে কীভাবে?’
জাতীয় দলের খেলা বাদ দিয়ে সাকিব আইপিএলে যাবেন, এটা নিয়েই সবচেয়ে বেশি সমালোচনা। অথচ দেশ তথা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার মনে করছেন, এই আইপিএলে খেলেই বিশ্বমঞ্চের কঠিন লড়াইয়ের জন্য নিজেকে সবচেয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত করা সম্ভব।
কিন্তু অনেক মানুষ সেটা বুঝছে না। সাকিবের ভাষায়, ‘আমাদের কিছু মানুষের মন সংকীর্ণ। তারা ওত দূর বুঝতেও পারে না, দেখতেও পারে না। বুঝতে চায়ও না। হয়তো বলার দরকার, তাই বলে। তার জায়গা থেকে সে ভাবে। এটা নিয়ে সেভাবে চিন্তাও করি না। একেকজন একেরকম ভাববে। এজন্যই বোধ হয় আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি (হাসি)।’
সাধারণ মানুষ কোন বিষয়গুলো বুঝতে পারছে না, সেটাও পরিষ্কারভাবে বোঝাতে চাইলেন সাকিব। কি কারণে আইপিএল কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলাটা যুগের চাহিদা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন।
সাকিব বলেন, ‘সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসছে, এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে। ফুটবল লিগ দেখেন। ওটার সঙ্গে তুলনা করছি না, সেটা অন্যরকম। তবে এটা কিন্তু ঠিক, লিগে খেলেই কিন্তু তারা প্রস্তুত হচ্ছে।’
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যোগ করেন, ‘আমার তো মনে হয়, আমাদের যদি ৫টা খেলোয়াড় আইপিএল খেলতো। তবে আমরা সেরা পাঁচ দলের মধ্যে থাকতাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হচ্ছে না। যেটা হওয়া উচিত ছিল। আইপিএল ১২-১৪ বছর ধরে হচ্ছে। মোস্তাফিজ শুধু আমার পরে খেলছে, বাকিরা কেউই সেভাবে খেলতে পারেনি, হয়তো এক দুই ম্যাচ।’
সবাই টাকার বিষয়টি দেখছেন। সেটা সাকিব অস্বীকার করছেন না। একজন খেলোয়াড়কেও তার ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে হয়ই। তারপরও সাকিব মনে করেন, আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলো খেলোয়াড়রা বেশি বেশি খেলতে পারলেই জাতীয় দলের উন্নতি সম্ভব।
সাকিবের ভাষায়, ‘ক্রিকেটের উন্নতি চাইলে এটা লাগবে। প্রস্তুতির পেছনে কিন্তু অনেক কষ্ট করতে হয়। একটা ম্যাচের জন্য ২০-৩০ দিন প্রস্তুতি নিতে হয়। এই টুর্নামেন্টগুলো সেই প্রস্তুতিতে সাহায্য করে। অস্বীকার করব না, ফাইনান্সিয়াল ব্যাপারও আছে। টাকারও তো দরকার আছে। একটা খেলোয়াড় ৩৫ বছর হয়তো খেলবে, পরের ৩০-৩৫ বছর কিভাবে চলবে?’
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com