শিরোনামঃ
![]() ০৩-০১-২০২১ ০৯:৩৬ অপরাহ্ন |
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় প্রতিবছর আলুর আবাদ হয়। তার উপর এবছর আলুর চড়া দাম এবং অনুকূল আবহাওয়া হওয়ায় আলু চাষে কৃষককে বাড়তি উৎসাহ যোগাচ্ছে। ফলে রবি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় আগেভাগে আলুর আবাদে নেমে পড়েছেন মান্দার চাষিরা। হিমাগার থেকে বীজ উত্তোলন, জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ এবং প্রস্তুতকৃত জমিতে আলু রোপণের কাজে ব্যস্ত চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে পুরোদমে চলছে আলু আবাদের প্রস্তুতি। জমি তৈরি করে ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের বীজ আলু কেটে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরপর সেই কাটা আলু রোপন করা হচ্ছে জমিতে। চলছে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে কীটনাশক স্প্রেও। পুরোপুরি ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও বাণিজ্যিকভাবে আলু আবাদকারী ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে কার্ডিনাল, অ্যাস্টেরিক, উপসি, তিলকপুরি ও চৌরকি জাতের আলু বেশি চাষ হয়। গত ২০১৯-২০ মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। এতে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ছিলো ২৪ টন। মোট উৎপাদন ছিলো ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত মান্দা উপজেলার প্রায় ৩৮০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।
চাষিরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তারা আলুর নায্য দাম পান না। তবে গত দুই বছর থেকে দাম ভালো পাওয়ায় আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তারা। তবে এবার আলু চাষে খরচের পরিমাণ বেশি।
এছাড়াও কৃষি বিভাগ থেকে আলু চাষের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা এবং উৎপাদিত আলু সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করলে কৃষকরা বেশি লাভবান ও আলু চাষে আগ্রহী হবেন বলে মন্তব্য করেন কৃষকরা।
উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের তুলসীরামপুর এলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে ব্যাপক ভাবে আলু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকার আলু চাষি মেছের আলী তিনি বলেন, আমাদের এলাকার মালচিং পদ্ধতিতে আলু চাষ বেশি, এ পদ্ধতিতে উৎপাদন খরচ কম এবং ফলন বেশি। বর্তমানে আলুর দাম ভালো রয়েছে। ফলে উপজেলার আলু ব্যবসায়ীসহ সাধারণ লোকজনও ঝুঁকছেন আলু চাষে।
একাধিক কৃষক জানান, আলু চাষের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ভালো দামের আশায় প্রায় সবাই আলু চাষে ঝুঁকছেন। এতে করে ভরা মৌসুমে দাম কমতে পারে। তবে এ বছর আলুর ভালো ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। আলু চাষ করেছেন একই ইউনিয়নের আব্দুল ছাত্তার, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, আব্দুস ছালাম, নাসির উদ্দিনসহ অনেকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে আলু চাষ করছেন। কৃষকরা আরো বলেন, আলুর বীজ সংকট এবং সারের কারণে এবার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। তবে বাজারে এরকম দাম ও ফলন ভালো হলে খরচের টাকা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন জানান, চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষক। তবে এ উপজেলাতে মালচিং পদ্ধতিতে আলু চাষে ফলন বেশি ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী কৃষক।
এছাড়া কৃষকরা যাতে আলুর ভালো ফলন পান সেই জন্য সার, সেচ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ায় ব্যাবস্থা করেছি আমরা। তিনি আরও বলেন, এ বছর ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com