শিরোনামঃ
আব্দুল জলিল ৩০-১০-২০২৫ ০৪:৩৩ অপরাহ্ন |
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দীর্ঘদিনের ভোগান্তির আপাত অবসানকল্পে ইছামতি নদীর উপর নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকোর দুপাশের রাস্তায় ইট বিছায়ে চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন ওই রাস্তায় চলাচলকারী তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তির আপাত অবসান হয়েছে। ওই সেতু ও ইটের রাস্তার অবস্থান সংসদীয় আসন সিরাজগঞ্জ- ১ (কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের চার ইউনিয়ন) এর সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামে। সেখানে বহমান ইছামতি নদী পার হয়ে যাতায়াতের জন্যে কয়েকমাস পূর্বে ব্যক্তি উদ্যোগে দুইশ ফিট লম্বা একটি বাঁশের সাকো নির্মিত হয়। ওই সেতুতে ওঠার চলাচলের অনুপযোগী দুপাশের রাস্তায় নতুন করে ইট বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ইছামতি নদী পারপারে ওই বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে আসছেন। এ বিষয়ে একটি পাকা সেতু চেয়ে অনেক আবেদন জানালেও কর্তৃপক্ষ কোন সাড়া দেয়নি।
বুধবার বিকেলে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ইছামতি নদী পার হয়ে চলাছলের জন্যে একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করেন একডালা গ্রামের আসাদুল ইসলাম। সম্প্রতি বৃষ্টিতে ও যানবাহনের চলাচলের কারণে ওই সাঁেকাতে ওঠার দুপাশের রাস্তা ভেঙ্গে এবড়ো থেবড়ো হয়ে চলাচলের অনুযোগী হয়ে পড়ে। রিক্সা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, সাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াতকারী লোকজন প্রায়শই দুর্ঘটনায় পড়েন। এ নিয়ে সরকরীভাবে অনেক আবেদন নিবেদন করেও কোন সুরাহা না হলে এবার রাস্তা নির্মাণেও এগিয়ে আসেন আসাদুল ইসলাম। দুই লক্ষা টাকা ব্যয়ে নতুন ইট এনে গত চারদিনে বাঁশের সাকের পূর্বপাড়ের দেড়শ ফিট এবং পশ্চিম পাড়ের আড়াইশ ফিট রাস্তা মেরামত করেন। এর ফলে ওই রাস্তায় চলাচলকারী মানুষজন আপাত স্বস্তিতে চলাচল করতে পারছে।
ধুনট উপজেলার ভ্যানচালক রনজু মিয়া জানান, কিছুদিন যাবৎ ওই (চার) সেতুতে ওঠাই যাচ্ছিল না। রাস্তায় গর্ত হয়ে গেছে অনেক খানে। আজ দেখলাম ইট পেতে দেয়া হয়েছে। আপাতত কষ্ট কমলো।
ইছামতী নদীর ওই ঘাটের নিকটের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, “আমাগোরে গাঁয়ের আসাদুল এর আগেও চার(সাঁকো) দিচে। এহন ইটা বিছায়া দিলো দুইপাড়ের সড়কে। এহন গাড়ি নিয়া যাইতে পারতাছি।”
বাঁশের সাকো ও রাস্তা মেরামতকারী আসাদুল ইসলাম জানান, “প্রতিদিন মানুষের কষ্ট দেখি। রিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেল নিয়ে চারে ওঠার রাস্তা ভেঙ্গেচুরে গেছে। কেউ কিছুই করে না। এ কারণে নিজেই মেরামত করলাম। তবে আরও কিছুটা কাজ বাকি আছে। যদি কেউ এগিয়ে আসতো তাহলে বাকিটাও হতো। তবে আমাদের দাবী এখানে সরকারিভাবে একটি পাকা ব্রিজ চাই।”
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান জানান, খুব শিঘ্রই ওইস্থানে সমীক্ষা চালানো হবে। এরপর বরাদ্দ সাপেক্ষে দ্রæততার সাথে ঢালাই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
এ/জে
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com