শিরোনামঃ
![]() ২৩-০৪-২০২৫ ১০:৪২ অপরাহ্ন |
সিলেট বিয়ানীবাজারে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি
স্টাফ রিপোর্টারঃ সত্যিকারের সংবাদ প্রকাশের জেরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি,জাতীয় দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকা বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকা স্টাফ রিপোর্টার,দৈনিক সকালের খোঁজখবর পত্রিকা চিফ রিপোর্টার,দৈনিক সময়ের কথা ২৪ এর সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোচীফ,সিনিয়র সাংবাদিক এম এ রশীদকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার ৪নং শেওলা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শীর্ষ সন্ত্রাস ভূমি খেকো কামরুজ্জামান কামরান,ও তার সাথের অন্যান্য ভূমি খেকোরা,
১৪ এপ্রিল (সোমবার ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি এম এ রশীদ তিনির কর্মস্থল সিলেট জেলা অফিস থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় বিয়ানীবাজার শেওলা পল্লী বিদ্যুৎ নামক জায়গায় রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় সাংবাদিক এম এ রশীদ কে একা পেয়ে ভূমি খেকো কামরুজ্জামান কামরান ও তার সাথের ভূমি খেকোরা হুমকি দিয়ে গালমন্দ করে বলে তকে সাংবাদিক করার নাম মিটিয়ে দিবো,তুই আমার অনেক ক্ষতি করছত,তুই নিউজ করার কারণে এসিল্যান্ড আমার উপর অনেক জরিমানা করছে,আমার সব ক্ষতিপূরণ তুই দিতে হবে অন্যথায় তোকে আমি প্রাণে মেরে ফেলবো,এ বলে সাংবাদিক এম এ রশীদ কে মারতে আসে তখন প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন এগিয়ে এসে সাংবাদিক এম এ রশীদকে ভূমি খেকো শীর্ষ সন্ত্রাস কামরুজ্জামান কামরান ও তার অন্যান্য ভূমি খেকোদের হাত থেকে রক্ষা করেন।যাওয়ার সময় ভূমি খেকো শীর্ষ সন্ত্রাস কামরান বলে আমি বিভিন্ন স্থানে তকে খুঁজছি মারার জন্য,তর ভাগ্য ভালো ছিলো খুঁজে বেড়াই পাইনি,আজ পাইছি তকে প্রাণে মেরে ফেলবো।
এ ব্যাপারে ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার)সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানায় জিডি দায়ের করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক এম এ রশীদ।
উল্লেখ্য যে গত ৫ ফেব্রুয়ারী ৬ ফেব্রুয়ারি ও ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজকের বসুন্ধরায় বিয়ানীবাজার ট্রাক্টর ট্রলি থেকে মহাসড়কে পড়া মাটি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ,চারাবইয়ে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা,জন দুর্ভোগ চরমে,শেওলায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা,এ যেন এক মগের মুল্লুক শীর্ষ সংবাদ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
ঔই সব সংবাদের জের ধরে প্রায় দুমাস পর ১৪ ফেব্রুয়ারি(সোমবার) ভূমিখেকো কামরুজ্জামান কামরান ও তার সঙ্গীও অন্যান্য ভূমি খেকোরা মিলে সিনিয়র সাংবাদিক এম এ রশীদ কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ মারতে আসে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় সাংবাদিক এম এ রশীদ প্রাণে বেঁচে যান,পরবর্তীতে পরদিন অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং তারিখ এম এ রশীদ বিয়ানীবাজার থানায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।তদন্তকালে জানাযায় কামরুজ্জামান কামরান আওয়ামী ফ্যাসিট সরকারের আমলে সে শেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল পদবী থাকাকালীন সময়ে শেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ফখরুল ইসলাম (কাইলা পীর)এর সহায়তায় বালিঙ্গা গ্রামের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমরতীথ র্নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক হয়রানি করেছে,এমনকি তার অত্যাচারে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাকে প্রায় এক বৎসর একঘরে করে দেন,বালিঙ্গা গ্রামে গেলে দেখা যায় গ্রামের প্রধান রাস্তার মধ্যে দুই সাইডে দুইটা পিলার মারা, জানতে চাইলে গ্রামবাসী বলেন অবৈধভাবে ট্রাক্টর দিয়ে আমাদের গ্রামের রাস্তা নষ্ট করে ফেলে কামরান,তাই আমরা ঔই পিলার গুলা মেরেছি।পরবর্তীতে শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহুর উদ্দিন এর মধ্যস্থতায় গ্রামবাসীর কাছে মাফ চাইলে,গ্রামবাসী চেয়ারম্যান মোঃ জহুর উদ্দিনের অনুরোধে তাকে মাফ করে দেন,এখনও সে গ্রাম থেকে আলাদা,গ্রামের কারো সাথে তার মিল নেই,পূর্বে যে সে নেক্কারজনক কাজ করছিলো এখনও গ্রামবাসী তাকে ভয় পান। সে এখনও অনেক জায়গায় বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মরেনি,আপা যায়নি আপা আসবে আসার পর সবকিছুর প্রতিশোধ নিবো। আমি আওয়ামী লীগের নেতা। বালিঙ্গা গ্রামের নিরীহ মানুষের দাবি কামরুজ্জামান কামরান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে আমাদের গ্রামের ছোট বড় সবাইকে এতো জুলুম নির্যাতন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করলো তারপর ও সে এখন কি করে গ্রামে মাস্তানের মতো চলাফিরা করে,গ্রামবাসী জানতে চায় বর্তমান উপদেষ্টা মন্ডলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। আমাদের গ্রামকে সে ফেসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এত অশান্তি ও নোংরা করেছিল এখনও খোলামেলা চলাফেরা করে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেন,সাংবাদিক এম এ রশীদ সাহেবের সাধারণ ডায়েরি করার অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।এবং ঘটনাস্থলে সাব ইন্সপেক্টর উপ-পরিচালক রঞ্জিত রায় প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন,এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান কামরান এর মুটো ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সে নিউজ করার কারণে উপজেলার এসিল্যান্ড আমার অনেক জরিমানা করিয়েছেন, আমার সব ক্ষতিপূরণ দিয়ে আমার কাছ থেকে রক্ষা পাবে তাই আমি তাকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নিবো।ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ রশীদ জানান,সাংবাদিকতায় যখন থেকে এসেছি তখন থেকেই মাঝেমধ্যে এমন হুমকি পেয়ে অভ্যস্ত।তাই এখন আর এগুলো গায়ে লাগে না।কিন্তু এবারের বিষয়টি ভিন্ন।যেহেতু আমার বাড়ি কামরানের বাড়ির রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাই আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।আমার কাছে ঘটনার সময়কার কিছু ভিডিও ধারণ করা আছে।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com