কাজিপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংগ্রহ করা হচ্ছে বাথানের দুধ
০৯ অক্টোবর, ২০২৫ ০৩:৫৬ অপরাহ্ন

  

কাজিপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংগ্রহ করা হচ্ছে বাথানের দুধ

আব্দুল জলিল
০৮-১২-২০২৪ ০৫:২৪ অপরাহ্ন
কাজিপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংগ্রহ করা হচ্ছে বাথানের দুধ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংগ্রহ করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনার চরে গরু-মহিষের বাথানের দুধ।  অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংগ্রহ করা এসব দুধ বিক্রি হচ্ছে কোনরূপ পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই।  

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কাজিপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরের মানিকপোটল চরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মহিষের দুধ সংগ্রহ করে, তা বিক্রি করতে দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে  কাজিপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০টি বাথান রয়েছে। প্রতিটি বাথানে ২০ থেকে ২৫টি গরু ও দেড় থেকে ২শ মহিষ আছে। বাথানগুলো শ্রাবণ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত পরিচালনা হয়।  এ সময়ের মধ্যে গরু- মহিষের খাদ্যের জন্য ঘাসের জমি এক থেকে দেড় লাখ টাকায় স্থানীয় জমির মালিকদের থেকে ইজারা নেওয়া হয়। প্রতিটি বাথান থেকে গড়ে প্রতিদিন ১৭০ থেকে ১৮০ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়।

 

 সরেজমিন গিয়ে  দেখা গেছে দুধেল এই প্রাণীগুলো থেকে নোংরা কনটেইনারে দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে।  সংগ্রহকালিন সময়ে বাতাসে চরের ধুলোবালি ও মশা মাছি উড়ে এসে সরাসরি ওই দুধের মধ্যে পড়ছে।  ময়লায় ভরা এসব দুধের পাত্রের ভেতর মরা মাছি ভাসতেও দেখা যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

এই চরে  ঘাস সংগ্রহ করতে আসা কৃষক সোলেমান মিয়া জানান, প্রায়ই দেখি বাথানের লোকজন দুধ দোয়াইয়া দুধের ভিতর কী যেন ছোট বোতল দিয়ে ঢেলে দেয়, মনে হয় দুধে কোনো ওষুধ দিল। আসলে এই নোংরা ময়লাযুক্ত দুধ খাওয়া ঠিক না।

একই রকম কথা বলেন বাথান দেখতে আসা নাবিল ইসলাম। তিনি বলেন, এই চরে আমাদের জমি আছে। এখানে আসলেই দেখি  একই পাতিলে বারবার দুধ সংগ্রহ করে রাখা হয়। একবার ব্যবহার করে  পাত্রগুলো ভালোমতো পরিস্কার করে না।

বাথান পরিচালনাকারী দায়িত্বে থাকা  বিশু  স্বীকার করেন,  সংগৃহীত দুধের মান এবং স্বাদ তেমন একটা থাকে না। আগের দিন বিকেলে সংগ্রহ করা দুধ পরের দিনের দুধের সঙ্গে মেশানোর করা কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবী করেন দুধে ক্ষতিকর ফরমালিন ব্যবহার করা হয়না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাথান শ্রমিক বলেন, দুধ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য দুধে ওধুধ মেশানো হয়।  এজন্য বিকেলের দুধ সকালে বিক্রি করলেও সমস্যা হয় না।

এ বিষয়ে বাথান মালিক বগুড়ার জেলার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটার শ্রী প্রীযূষ কুমার বলেন, আমরা দুধে কোনো মেডিসিন ব্যবহার করি না । সংগৃহিত দুধ যথা সময়েই বিক্রি করা হয়।

 কাজিপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রন্টু মিয়া  জানান, সংগৃহীত দুধ কোনো অবস্থাতেই ৬ ঘণ্টার বেশি রাখা নিরাপদ নয়। ৬ ঘণ্টা পর দুধ এমনিতেই নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, খোঁজ নেয়া হবে। যদি দুধ সংগ্রহের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও  মেডিসিন মেশানোর প্রমাণ পাওয়া যায় তবে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আব্দুল জলিল ০৮-১২-২০২৪ ০৫:২৪ অপরাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে
এবং 237 বার দেখা হয়েছে।

পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ
Loading...
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বশেষ প্রকাশিত

  

  ঠিকানা :   অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
  মোবাইল :   ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
  ইমেল :   info@sirajganjkantho.com