সারিয়াকান্দি কালিতলা গ্রয়েন বাধে যত্রতত্র দোকান বিড়ম্বনার শিকার দর্শনার্থীরা
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

  

সারিয়াকান্দি কালিতলা গ্রয়েন বাধে যত্রতত্র দোকান বিড়ম্বনার শিকার দর্শনার্থীরা

আব্দুল জলিল
২৫-০৬-২০২৪ ০৬:০১ অপরাহ্ন
সারিয়াকান্দি কালিতলা গ্রয়েন বাধে যত্রতত্র দোকান বিড়ম্বনার শিকার দর্শনার্থীরা
সারিয়াকান্দি বগুড়া  প্রতিনিধিঃ
বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দী একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এখানে কয়েকটি স্পট বেশি পরিচিত সেগুলো হলো, কালিতলা গ্রয়েন বাঁধ, প্রেম যমুনার ঘাট, ফিস পাস, হাসনারপাড়া গ্রয়েন বাঁধ। প্রতি ঈদে, ও শুক্রবার, শনিবার এখানে প্রচুর দর্শনার্থীরা আসে। এ আসা দিন দিন আরও বারছে।
সবগুলো পর্যটন এলাকার ভিতর সব থেকে জনপ্রিয় হলো কালিতলা গ্রহীন বাঁধ। এখানে প্রতিদিন কিছু না কিছু দর্শনার্থীরা বেড়াতে আসেই। শুক্রবার শনিবার দর্শনার্থীদের পদচারিতায় কালিতলা টইটুম্বুর হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে এখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিছু ভালো মানের হোটেল হয়েছে সেগুলো কালিতলা বাঁধে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের খাওয়া দাওয়ার চাহিদা পুরন করতে সক্ষম। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখানে আসা দর্শনার্থীদের বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।প্রথমত এটি একটি ছোট জায়গা এ জায়গায় প্রভাবশালীরা রাস্তায় দুই পাশ দিয়ে পাকা ও আধাপাকা বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে। এতে রাস্তাটি আরও সংকুচিতো হয়ে গেছে। বিভিন্ন যানবাহন রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে থাকায় যাতায়াতের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে থাকে সবসময়। এই টুকু পথ কষ্ট করে বাঁধের সামনের দিকে এগিয়ে গেলে পরে আরেক সমস্যায় এখানে কিছু অস্হায়ী দোকান গড়ে উঠেছে দুই পাশ দিয়ে নদী দেখার কোন উপায় নেই। স্বস্তির সাথে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে পারেনা দর্শনার্থীরা তাদেরকে নিচে নেমে গিয়ে ব্লকের উপর দারাতে হয় তাহলে কিছুটা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। 
বগুড়া নারুলী এলাকার আতাউর রহমান এখানে বেড়াতে এসে  বলেন,সারা সপ্তাহ কর্ম ব্যস্ততার কারনে পরিবারকে সময় দিতে পারিনা। তাই আজ ছুটির দিন হওয়াই পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি। এখানে বিকালের পরিবেশটা খুব সুন্দর ও মনোরম লাগছে। কিছু সমস্যাও চোখে পড়লো তা হলো বাঁধে উঠতে অনেক দোকান ও হোটেল দেখলাম রাস্তার দুই পাশ দিয়ে। তারপরেও বাঁধের একেবারে পুর্ব মাথায় যে অস্হায়ী দোকান গুলো আছে তাতে দর্শনার্থীদের সুন্দর পরিবেশ নিঃশ্বাস নিতে পারছেনা সঠিক ভাবে। এ দোকান গুলো না থাকলে পরিবেশ আরও সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারতাম৷ 
আরেক দর্শনার্থী কবির হোসেন ঢাকা থেকে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। কালিতলা ঘাটের কথা শুনে দেখতে এসেছে তার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে সে বলে, আমি এসেছিলাম প্রাকৃতিক পরিবেশ একটু সময় কাটাবো নদী দেখবো নৌকায় ভ্রমন করবো। কিন্তু এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ আর কোথায় চারিদিকে শুধু দোকান আর দোকান ময়লা 
আবর্জনা ভরে রয়েছে৷ 
সারিয়াকান্দি উপজেলার স্হানীয় এক মাষ্টার বলেন আগে সকালে হাটতে বের হলে কালিতলায় আসতাম৷ এখন আর আসা হয়না কারন এখানের পরিবেশ আর আগের মতো নাই। সারাদিন দোকানের ময়লা আবর্জনা ফালিয়ে রাখে দোকানীরা সেগুলো এক লোক পরিষ্কার করে যেমন তেমন ভাবে অনেক সময় সকালে গন্ধে টেকা যায় না। আমরা চাই এ জায়গাটা আবার আগের মতো হোক সবাই যেনও এখানে এসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে।
কালিতলা ঘাটের এক অস্হায়ী দোকানীর সাথে কথা হলে সে বলে এখানে দোকান করলে দিনে ৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। জহুরুল নামের এক লোক এ টাকা তোলে এ টাকা না দিলে এখানে দোকান করতে দিবে না। এছারা এখানকার আশেপাশের লোক না হলে এখানে দোকান বসাতে দেয় না। 
 
পানি উন্নয়ন বোর্ডের  উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন,আমরা ওখানে অবস্থিত সকল অবৈধ স্হাপনা অপসারণ করার জন্য নোটিশ দিয়েছি। যদি তারা নিজের থেকে এসব দোকান না সরিয়ে নেন। তাহলে আমরা  অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে ফেলবো। আরও আগেই উচ্ছেদ করা হতো ঈদের ছুটির কারনে একটু দেরিই হয়ে গেলো। 
 
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন,এ জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তারা যদি উপজেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে  সহযোগিতা করা হবে। 

আব্দুল জলিল ২৫-০৬-২০২৪ ০৬:০১ অপরাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে
এবং 138 বার দেখা হয়েছে।

পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ
Loading...
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বশেষ প্রকাশিত

  

  ঠিকানা :   অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
  মোবাইল :   ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
  ইমেল :   info@sirajganjkantho.com