শিরোনামঃ
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চৌহালি ০৪-১২-২০২৩ ০৬:৪০ অপরাহ্ন |
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার ভরাডুবির শঙ্কা- স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস জনপ্রিয়তার শীর্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বেলকুচি-চৌহালী উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে আবারো নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শিল্পপতি আব্দুল মমিন মন্ডল।
সিরাজগঞ্জ তথা বেলকুচি-চৌহালীর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রবীণ, কর্মী ও জনবান্ধব এবং বিগত সরকারের সময়ে জেল-জুলুম খেটে রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ভোটের হিসেব-নিকেশ পাল্টে যাবে বলে সবাই মনে করছেন। আসনটিতে নৌকার চরম ভরাডুবি হতে পারে নির্বাচন বিশ্লেষকসহ সাধারন মানুষ মনে করছেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন আবদুল লতিফ বিশ্বাস। ছাত্রজীবন থেকে তিনি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৬৯ সালে ১১ দফা আন্দোলনে ছাত্রাবস্তায় কারাবরন করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে ৭নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। ১৯৭২ বাংলাদেশ তাঁত ক্ষুদ্র শিল্প ও শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৩সালে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত এবং জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৭৫‘ পরবর্তী তিনি গ্রেফতার হন এবং রংপুর মার্শাল কোর্টে তার বিচার হয়। ১৯৮৪ দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কারাবরন করেন। জেলহাজত থেকে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করে দ্বিতীয়বারের মতো দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৮৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক এবং পরবর্তীতে সাধারন সম্পাদক এবং ২০০২ সালে সভাপতির দায়িত্বপালন করেন। ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পেলেও স্বল্প ব্যবধানে হেরে যান।
২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ থেকে পুনরায় মনোনয় পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ম”স্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও দল থেকে জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তিনি ২০২২ পুনরায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ণ জমা দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকাবস্থায় বেলকুচি-চৌহালীতে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ম’স্য ডিপ্লোমা, ভেটেরিনারী কলেজসহ বেলকুচি-সিরাজগঞ্জের একমাত্র রাস্তাটি টু-লেনসহ আঞ্চলিক রাস্তা নির্মানসহ বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন এবং তৃনমুল নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোর কারনে তার জনপ্রিয়তা এখনো তুঙ্গে রয়েছেন।
একারনে ইতোমধ্যে তার নিজ আসনসহ পুরো জেলায় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব লতিফ বিশ্বাসকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাধারন ভোটাররা বলছেন, দীর্ঘদিন পর বেলকুচি-চৌহালীবাসী তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে পেয়েছেন। বেলকুচি-চৌহালীতে বর্তমান সংসদ আব্দুল মমিন মন্ডল কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। দুটি উপজেলায় যা উন্নয়ন সবই সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের হাত ধরেই হয়েছে।
তাই এবার লতিফ বিশ্বাসকে ভোট দিতে জনগন মুখিয়ে রয়েছি। শতভাগ নিরপেক্ষ ভোট হলে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বিপুলভোটে জয়ী হবে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দেয়ার পর স্থানীয় তৃনমুল আওয়ামীলীগসহ সাধারন মানুষের ভালবাসা ও অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি বেলকুচি-চৌহালীবাসী আমাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করবেন।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com