শিরোনামঃ
আব্দুল জলিল ১৯-০৭-২০২৩ ০৫:০১ অপরাহ্ন |
স্টাফ রিপোর্টারঃ কমতে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় ১০ সেমিঃ পানি কমে বিপদসীমার ৬১ সেমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু পানি কমলেও দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন। যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত চরগিরিশ ইউনিয়নের সিন্দুর আটা বয়রা ভায়া জামালপুর উপজেলার সরিষাবাড়ী পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তাটির দুইশ মিটার যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। হুমকীর মুখে পড়েছে রাস্তার পাশের ৩৩ হাজার কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। গত সোমবার থেকে এই রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। মঙ্গলবার থেকে স্থানীয়ভাবে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন বালুভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে চরিগিরিশ ইউনিয়নের যোগাযোগের প্রধান সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বহু মানুষ। গত বছরের বন্যায় এই রাস্তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মিত জোড়াব্রিজ দেবে গেলে সেখানে সাময়িক চলাচলের জন্যে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। এবার বন্যায় সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কাজিপুরের চরাঞ্চলে অনেকগুলো রাস্তা নির্মাণ করেন। তারমধ্যে এলজিইডি’র নির্মিত চরগিরিশ ইউনিয়নের এই পাকা রাস্তাটি ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই র্স্তাা ব্যবহার করে চরাঞ্চলের মানুষজন পাশের জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী যাতায়াত করে। ওখান থেকে রাজধানী ঢাকায় চলাচল করে। বিশেষ করে চরে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করণে এই পথ তাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার দুপুরে কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) সুখময় সরকার ভাঙনকবলিত ওই স্থান ঘুরে দেখেন। ইউএনও জানান, ওই রাস্তার ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়ভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বন্যা নেমে গেলে জোড়াব্রিজের স্থানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষা হয়ে গেছে।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com