অবশেষে বিএডিসির এসকে-১১ গভীর নলকূপেরটিম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হারুন
১০ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:১৫ অপরাহ্ন

  

অবশেষে বিএডিসির এসকে-১১ গভীর নলকূপেরটিম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হারুন

আব্দুল জলিল
০৩-০৪-২০২৩ ০৫:১৭ অপরাহ্ন
অবশেষে বিএডিসির এসকে-১১ গভীর নলকূপেরটিম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হারুন

কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বিএডিসির এসকে-১১ গভীর নলকূপের দাবীদার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। দীর্ঘ আলোচনা ও কাগজপত্র পর্যালেচনার পরে বিষয়টির সুরাহা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে একটি অশুভ চক্রের চক্রান্ত থেকে এই গভীর নলকূপের আওতাধীন কৃষক ও প্রকৃত  পরিচালক রেহাই পেলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠকের মাধ্যমে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

 কাজিপুর বিএডিসি অফিস ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২-৯৮৩ অর্থবছর থেকে ছালাভরা গ্রামের শাহজাহান আলী এসকে-১১ গভীর নলকূপটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তখন থেকে তিনি এই সেচপাম্পের টিমলিডার ও  ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই সেচ পাম্পটি অকেজো হয়ে পড়েছিলো। এরপর শাহজাহান আলীর  পুত্র আব্দুল্লাহ আল হারুন বিএডিসির সহায়তায় সেটি নিজ অর্থায়নে সচল করে  সেচকাজ পরিচালনা করে আসছেন।  বিএডিসির পানাসি প্রকল্পের মাধ্যমে এই পাম্পটি পারিচালিত হয়ে আসছে। সরকারি সকল  নিয়ম মেনে ওই সেচ পাম্পটির মিটার, ট্রান্সফর্মার সব কিছুই আব্দুল্লাহ  আল হারুনের নামে রয়েছে। এরপর হঠাৎ সেচপাম্পটির ট্রান্সফর্মার চুরি যায়। তখনও দাবীদার কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে থানায় জিডি করে নিজ অর্থায়নে আবার সংযোগ সচল করেন আব্দুল্লাহ আল হারুন। অথচ ওই গ্রামের নুরুল ইসলাম সেচ পাম্পটির বৈধ দাবিদার বলে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর নিকট ২ বছর আগে একটি আবেদন করেন।  তদন্ত শেষে  আব্দুল্লাহ আল হারুন রায় পান। এরপর তিনি বদলী হলে নতুন করে নুরুল ইসলাম গং আবারো  সেচ পাম্পটির মালিকানা দাবী করে হট্টগোলের সৃষ্টি করে। পরে  সবকিছু পর্যালেচানার পর এসকে ১১ সেচ পাম্পের বৈধ দাবীদার হন আব্দুল্লাহ  আল হারুন। গত ২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত পত্রে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় স্বাক্ষর করেছেন। এখন থেকে আব্দুল্লাহ আল হারুনের এসকে ১১ গভীর নলকূপটির পরিচালনার সব বাধা দূর হলো।

 এ বিষয়ে হারুন বলেন, নিজের টাকা খরচ করে বিএডিসির সব শর্ত মেনে সংযোটি গ্রহণ করে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছি। অথচ নুরুল ইসলাম ও তার লোকজন প্রতিহিংসাবশত আমাকে অযথা হয়রানী করেছে। আশা করি এখন সব প্রমাণ হবার পরে আর কোন সমস্যা থাকবে না।


আব্দুল জলিল ০৩-০৪-২০২৩ ০৫:১৭ অপরাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে
এবং 229 বার দেখা হয়েছে।

পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ
Loading...
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বশেষ প্রকাশিত

  

  ঠিকানা :   অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
  মোবাইল :   ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
  ইমেল :   info@sirajganjkantho.com