কাজিপুরে চাঁদা না পেয়ে কাঠের ফার্নিচারের দোকানে হামলা
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ভানুডাঙ্গা বাজারের দুটি কাঠের ফার্ণিচারের দোকানে চাঁদা না পেয়ে ভাঙচুর, হামলা ও লুট করেছে সন্ত্রাসী মোমিন ও কাবিল বাহিনী । রোববার বিকেলের ওই হামলায় ফার্ণিচার মালিকদের অন্তত ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা পাশের বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার চরখুকশিয়া গ্রাম থেকে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভানুডাঙ্গা বাজারের দক্ষিণ পাশে জুয়েল রানার ফার্ণিচার ঘরের মধ্যে রাখা কাঠ ও তৈরিকৃত আসবাব সামগ্রি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ঘরের ধাপার (শার্টার) খুলে নিয়ে গেছে। কাঠের আসবাব তৈরির বিভিন্ন যন্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। এতে করে তার অন্তত চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপর দিকে জুয়েলের ফার্ণিচারের পাশেই আল আমিনের ফার্ণিচারও রক্ষা পায়নি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে। সেখান থেকেও নকশা তৈরির মেশিন, কাটার মেশিন, কাঠ চাছার মেশিন, ড্রিল মেশিন ও ক্লামপিচ সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এতে আল-আমিনের এক লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফার্ণিচারের মালিক জুয়েল রানা বলেন, ধুনটের চরখুকশিয়া গ্রামের হাবিল সরকারের ঘর ভাড়া নিয়ে চার বছর ধরে ফার্ণিচারের কাজ করছি। অনেক দিন ধরে আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। ওরা বলে, বাজারে কাজ করবি চাঁদা দিয়ে করা লাগবে। চাঁদা না দেয়ায় আজকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, আমার ঘর থেকে পাঁচ-ছয়টা খাট নিয়ে গেছে। দোকানের বেড়া, ধাপার খুলে নিয়ে গেছে।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আল আমিন বলেন, ছয়-সাত জন সন্ত্রাসী রাম দা, কুড়াল, শাবল, রড নিয়ে এসে দোকান ঘর ভাঙচুর করে। আমরা ভয়ে ফাঁকে গেছি। তারা আমাদের কাজের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, পার্শ্ববর্তী বগুড়ার ধুনট উপজেলার চরখুকশিয়া গ্রামের মজিবারের ছেলে মোমিন, আলম, কাবিল, কাবিলের ছেলে রাকিব, মজিবারের আরেক ছেলে শহিদুল, শহিদুলের ছেলে রবিন সকালে রাম দা কুঁড়াল, শাবল, রড সহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ওই ফার্ণিচারে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে, ঘরের মধ্যে থাকা কাঠের আসবাব পত্র, যন্ত্রপাতি সব নিয়ে যায়।
ঘরের মালিক হাবিল সরকার বলেন, জমিজমা নিয়ে মোমিন ও কাবিলের সাথে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারই জের ধরে আজকে তারা হামলা চালিয়েছে। অন্যের ফার্ণিচারের ক্ষতি করেছে। ভাঙচুর করেছে। লুট করেছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কাবিল বলেন, সব মিথ্যে। ওইটা আমাদের জায়গা। নতুন করে ঘর উঠাবো বলে বেড়া খুলে এনেছি।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।