শিরোনামঃ
![]() ১৫-০৭-২০২২ ০৫:৪৯ অপরাহ্ন |
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গ্রাম পুলিশের এক দফাদারের নামে একাধিক সরকারি ভাতার কার্ড থাকার অভিযোগ উঠেছে। একইসাথে অন্যের নাম ব্যবহার করে তুলে নিচ্ছেন সরকারি বরাদ্দও। ওই দফাদারের নাম আব্দুর রশিদ। তিনি উপজেলার ৬ নং মাইজবাড়ী ইউনিয়নের দফাদার এবং কুনকুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েকদিন এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা খোঁজ খবর নিতে গেলে বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাইজবাড়ী ইউনিয়নের দফাদার আব্দুর রশিদের পরিবার আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। তার বড় পুত্র রাজশাহীতে ব্যবসা করেন। ছোট পুত্র বগুড়ার শেরপুর উপজেলার একটি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক। শেরপুরে তার আরও একটি বাড়ি আছে। নিজে দীর্ঘদিন যাবৎ মাইজবাড়ী ইউনিয়নে দফাদারের দায়িত্ব পালন করছেন। দফাদারের প্রভাব খাটিয়ে তিনি সরকারি নানা সেবামুখী বরাদ্দের কার্ড নিজের নামে এবং নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে করে নিয়েছেন। সেইসাথে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানা ব্যবহার করে নিজের মোবাইল নম্বর যোগ করে তুলে নিচ্ছেন নানা ভাতা। এমন তথ্য জানিয়েছেন আব্দুর রশিদের প্রতিবেশি এনজিও কর্মি আহসান হাবীব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুর রশিদ তার শিক্ষক ছোট ছেলের স্ত্রী বিলচতল গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে নার্গিস খাতুনের নামে ভিজিডি চক্রে নাম লিখিয়েছেন। সেখানে তিনি নিজের মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করেছেন। এরপর তিনি অতি দরিদ্রদের জন্যে সরকারের গৃহিত দশ টাকা কেজি দরের চালের তালিকাতেও নিজের নাম লিখিয়ে তা ভোগ করে আসছেন। গত মার্চ মাসে অতি দরিদ্রদের জন্যে কর্মসৃজন প্রকল্পে আপন ভাই হাসান আলীর নাম ব্যবহার করেছেন। একটি নতুন সিমকার্ড নিজের নামে কিনে সেই কার্ডে বরাদ্দের টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ওই কাজের সর্দার আব্দুল মালেক জানিয়েছেন ছালাভরা বাজার হতে জান্নাতুল নাইম কবরস্থানের রাস্তা সংস্কার কাজের এই প্রকল্পে হাসান আলী কোনদিন হাজির থাকেনি। কিন্তু তালিকায় নাম আছে। তবে তার টাকা কে নিয়েছে জানিনা। পাইকরতলী গ্রামে দফাদারের আপন ভাগিনী নাছিমা খাতুনের নামে ভিজিডি কার্ড করে নিজে তা ভোগ করে আসছেন বলে জানা গেছে। এই নামের বিপরীতে দেয়া মোবাইল নম্বরে কল করলে ঢাকার এক মহিলা রিসিভ করেন। এছাড়াও নিজ গ্রামে তিনি প্রভাব খাটিয়ে নানা সুবিধাদি ভোগ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দফাদার আব্দুর রশিদ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তিনি নিজের ছেলের বউয়ের নামে এবং নিজের নামে কার্ড থাকার কথা স্বীকার করেন। অন্য বিষয়গুলি তিনি অস্বীকার করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের কিছু না লিখতে অনুরোধ করেন ও টাকা দিতে চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে মাইজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত হোসেনকে বার বার ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, গ্রাম পুলিশের কোন ভাতার কার্ড নেবার সুযোগ নেই। তবে অবস্থা বুঝে স্থানীয় চেয়ারম্যান ব্যবস্থা করে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com