শিরোনামঃ
![]() ২০-০৬-২০২২ ০৮:০৩ অপরাহ্ন |
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনান পানি বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্রুত পানি বাড়ার কারণে একের পর এক ডুবছে উঠতি ফসলসহ নতুন নতুন গ্রাম । গত চব্বিশ ঘন্টায় ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছ।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ভাঙ্গারছেও, শ্রীপুর, সুতানারা, বদুয়ারপাড়া, নতুন মাইজবাড়ী গ্রামের ঘরে ঘরে পানি ঢুকেছে। নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ফুলজোড়, ঘোড়াগাছাসহ গতবার জেগে ওঠা চরের নতুন বসতিতে পানি প্রবেশ করেছে। রয়েছে।অনেকে ভাঙনের কবলে পড়ে বাড়িঘর নৌকায় তুলে যমুনার ডানতীরে পার করছেন। নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দেখা দিয়েছে প্রচন্ড ভাঙন। সোমবার ও বিদ্যালয়টি দ্রুত সরানোর জন্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট দরখাস্ত দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া চরগিরিশ ইউনিয়নের খাস চরগিরিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরগিরিশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। আর ওয়াপদা বাধের অভ্যন্তরে অবস্থিত পলাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোমর সমান পানিতে ডুবে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ভেটুয়া, গুয়াখাড়া, গুজিয়াবাড়ি ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের এসএম জিয়াউল হক। তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, নাটুয়ারপাড়ার অভ্যন্তরীন সড়ক ও কিছু কিছু বাধ ভেঙ্গে গেছে। নিমজ্জিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার ফসলি জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বন্যায় উঠতি পাট পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। অনেক বেশি পানি হওয়ায় কৃষক পাটগাছ কাটতেও পারছে না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে। এতে করে নিচু এলাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাঙনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পাউবো।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, বন্যাক্রান্তদের জন্যে করণীয় বিষয়ে আজ (২০ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা দুরযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com