শিরোনামঃ
![]() ১৪-০৩-২০২২ ০৬:০৮ অপরাহ্ন |
স্টাফ রিপোর্টারঃ নিজের মেয়ের জামাই ও তার বাবার হুমকী আর নির্যাতনে মেয়েকে নিয়ে নিজ গ্রাম কুনকুনিয়া ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রবাসী বাদশা মিয়ার স্ত্রী পারভীন খাতুন। যৌতুকের দাবীতে পারভীনের মেয়ে বিথি খাতুনকে মারধোর করে তার এপিবিএন পুলিশ সদস্য জামাই আব্দুর রাজ্জাক রনি। জামাই রনি উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের কুনকুনিয়া গ্রামের মোকলেছুর রহমানের পুত্র। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোন সারাহা হয়নি। বাধ্য হয়ে পারভীনের মেয়ে বিথি তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক রনির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন কোর্টে মামলা কেেরন। সোমবার দুপুরে আত্মীয়ের বাড়ি ঢেকুরিয়াতে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিথির মা পারভীন আক্তার।
বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২০১৮ সালে একই গ্রামের মোকলেছুর রহমানের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক রনির সাথে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেন পারভীন আক্তার। এসময় জামাইকে পুলিশে চাকুরি নেয়ার জন্যে আটলাখ টাকা দেন। বিয়ের পরে কয়েকমাস ভালোই কাটে তাদের সংসার। এরপর জামাই রনি তার মেয়ের নিকট আরও যৌতুক দাবী করে। না পেয়ে বিথিকে মারধোর করে। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বারবার রনি ভুল স্বীকার করে এবং এরকম আর হবেনা বলে জানান। পারভীন জানান, এর পরেই আবারো তার মেয়েকে নির্যাতন করে জামাই রনি। গত জানুয়ারি মাসে রনি তার মেয়ে বিথিকে ব্যাপক মারধোর করে উঠানে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেন তিনি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালে মেয়েকে নিয়ে যান পারভীন। তিনি আরও জানান, আমার স্বামী দেশের বাইরে থাকে। আমাকে আামার বিয়াই ও জামাই নানা ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি আমি রনির অফিসে অভিযোগ আকারে জানাই। তখন রনি বাড়ি এসে কৌশলে সে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে হাতে পায়ে ধরে। পরে আমরা তার অফিসে লিখিত দেই। কিন্তু সে শুধরে না গিয়ে পূর্বের মতো আবারো আমার মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু করলে গত ৩০ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ নারী শিশু কোর্টে জামাই তার বাবাকে আসামী করে আমার মেয়ে মামলা করে। এরপর রনি ও তার বাবা আবারো মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সহ এলাকার মাতব্বরদের মাধ্যমে সালিশী বৈঠক বসায়। কিন্তু বৈঠকের কোন রায় রনি ও তার বাবা মানেনি। উল্টো চেয়ারম্যানের সামনে সে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং প্রাণণাশের হুমকী দেয়। এদিকে আদালত কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এ বিষয়ের তদন্তের জন্যে পাঠায়। ইউএনও তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে তিনি আদালতকে লিখিত আকারে জানান।
সম্প্রতি রনি নিজ বাড়িতে বিষ পান করে উপজেলা হাসপাতারে ভর্তি হয়। সেখানে সে নিজবাড়িতে বিষ খেয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। অথচ ফেসবুকে রনির লোকজন আমাকে এবং আমার মেয়েকে দোষারোপ করে পোস্ট দেয়। তারা বলে আমরা রনিকে বিষ খাইয়েছি। নানা প্রকার হুমকী এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করায় গত ৭ মার্চ কাজিপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এদিকে রনি ও তার পরিবারের লোকজনের অব্যাহত হুমকী ধামকিতে ভয় পেয়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। লিখিত বক্তব্য পাঠকালে পারভীনের মেয়ে বিথি ও তার আত্মীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com