চাকরী বাঁচাতে জীবন ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছে গার্মেন্টসকর্মীরা
করোনাকালীন কঠোর লকডাউনেও গার্মেন্টস,শিল্পকারখানা খোলার ঘোষনা হওয়ায় চাকরী বাঁচাতে ট্রাকে চেপে জীবন ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছে গার্মেন্টস কর্মীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাক,মাইক্রোবাস ও ভাড়াটে মোটর সাইকেলে ছুটছে তারা। ঢাকায় যেতে জনপ্রতি মাইক্রোবাসে ১ হাজার,মোটর সাইকেলে ৭ শত আর পণ্যবাহী ট্রাকে ৪ শত টাকা অবৈধ ভাবে ভাড়া নিচ্ছে গাড়ি চালকরা। আবার গাড়ির ড্রাইভারদের অভিযোগ,একশ্রেণীর অসাধু পুলিশ আর কথিত সাংবাদিকদের বখরা দিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে বলে ভাড়া একটু বেশী নিতে হচ্ছে। এভাবেই পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে ঢাকায় ফিরতে ট্রাকই তাদের ভরসা। আজ শনিবার (৩১ জুলাই) উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোডে ছিল ঢাকা ফেরত কর্মজীবিদের উপচেপড়া ভীড়।রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চরম ভোগান্তিতে কর্মস্থলে ফিরছে প্রিয়জনদের কাছে ঈদে আসা মানুষেরা। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকায় ছুটছে কর্মজীবী মানুষেরা। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, গণপরিবহন বন্ধ রেখে শুধু জনগনের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।করোনা প্রতিরোধে কোন সুফল হচ্ছেনা। বাসের সিটে বসে গেলে করোনা হবে আর নিদারুন কষ্ট নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে গেলে করোনা সংক্রমন হচ্ছে না এমন অভিযোগ তাদের? যেহেতু গার্মন্টস খুলে দিচ্ছে,তাই গণপরিবহনও খুলে দেয়া উচিত। হাজার হাজার মানুষের ভীড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল প্রায় নিশ্ক্রিয়। যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। ঢাকা ফেরত যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাকরী বাঁচাতে
যেভাবেই হোক ঢাকা পৌঁছতে হবে। এ জন্য উত্তবঙ্গ বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দ্বিগুণ,তিনগুণ ভাড়া দিয়ে হাটিকুমরুল পর্যন্ত এসেছি ।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী জানান, আমাদের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট রয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী বহন করায় বেশ কয়েকটি ট্রাক আটক করা হয়েছে।