শিরোনামঃ
![]() ২৫-০৬-২০২১ ০৭:৫৩ অপরাহ্ন |
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার খাসশুড়িবেড় গ্রামের জহুরুল ইসলামের সাথে শ্রমিক মালিকদের সংগঠনে ভর্তি হওয়াকে কেন্দ্র করে সংগঠনের রুবেল ও ফজলুর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জহুরুল নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রহিমকে জানায়। পরে আব্দুর রহিম নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করলে ফাঁড়ি পুলিশ রুবেল, ফজলু ও জহু নামের তিনজনকে ধরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে শ্রমিক-মালিকেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চান ফাঁড়িতে গিয়ে ওইদিন গভীর রাতে ওই তিনজনকে ছাড়িয়ে আনেন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে উভয়পক্ষে শোনা জানার এক পর্যায়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের সাথে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে শ্রমিক-মালিকেরা নাটুয়ারপাড়ায় পুলিশি হয়রানীর প্রতিবাদে মিছিল ও মানববন্ধন করে।
শ্রমিক-মালিক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ কারো কথায় ইচ্ছে করেই আমাদের হয়রানী করছে। আমরা সংগঠন চালাই। এখানকার অর্থ আমরাই নিজেরা সবার মধ্যে বন্টন করে নেই। এখানে কোন অস্বচ্ছতা নেই। অথচ পুলিশ আমাদের হয়রানী করছে।
নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, সংগঠনের নামে ওরা প্রতিজনের নিকট থেকে রশিদ না দিয়ে চার থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা নিচ্ছিল। আমি প্রতিবাদ করায় তারা উত্তেজিত হয়। ওরা একজন নিরীহ একজনের অটোভ্যান নিয়ে আটকে রেখেছিলো।
নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক গৌতম চন্দু মালী জানান, বুধবার গন্ডগোল হচ্ছে বলে আ.লীগের সভাপতি ফোন দিলে সেখানে আমি যাই। পরে আমার নিকট অভিযোগ দিলে আমি তিনজনকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মিমাংসার আশ্বাস দিলে আমি তাদের ছেড়ে দেই।
এদিকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোন গাড়ি চলবে না বলে জানিয়েছেন শ্রমিক মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হক মন্ডল।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com