শিরোনামঃ
![]() ১২-০৬-২০২১ ০৪:৩৬ অপরাহ্ন |
২০১৪ সালে ছাত্রদলের গঠিত কমিটিতে রবিন হাসান রকি ছিলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। কমিটির মেয়াদ অনুযায়ী ২০২১ সাল পর্যন্ত সে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ছাত্রদল নেতার চাচা আতাউর রহমান ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক। ২০১৮সালে ছাত্রদলের কমিটিতে থাকাবস্থায় রকি চাচার হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
যোগদান করেই স্থানীয় কিছু আওয়ামীলীগ নেতার সহায়তায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। বিএনপির আদর্শে গড়া এই ছাত্রলীগ নেতা তৈল বাজীতেও কম নন। স্বল্প সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ মন্ডলের হৃদয় জয় করে ফেলেন। বর্তমানে সংসদ সদস্যের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে বেলকুচি ছাত্রলীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিতে তৎপর হয়ে ওঠেছেন। সংসদ সদস্যও তাকে এককভাবে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করতে জেলা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে সুপারিশ করছেন। এ নিয়ে প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্য তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ২০১৩ সালে এই রবিন হাসান রকি ও তার চাচা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়। তাদের হাতে বহু আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। বহুল আলোচিন ট্রেন পোড়ানোসহ আওয়ামীলীগ বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন রকি। কিন্তু দুভার্গ্যকজনক আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের স্বার্থান্বেষী নেতার প্ররোচনায় আওয়ামীলীগে যোগদান করেই জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ হাতিয়ে নেয়।
সম্প্রতি বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলসহ কিছু নেতা জেলা ছাত্রলীগসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে তার পক্ষে সুপারিশও করছেন। ছাত্রদলের একজন পদধারী ক্যাডার যদি দলে যোগদান করেই ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পায় তবে দলের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
কমিটি গঠন নিয়ে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বেলকুচি পৌরসভার মেয়র তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, গুঞ্জন কমিটিতে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে সেটা যদি সত্য হয়...তাহলে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হবে কলঙ্কেও অধ্যায়ের অশুভ সুচনা ! এই লেখার পর বিভিন্ন জনের কমেন্টে সরগরম হয়ে উঠেছে। সিয়াম আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, এমপি মহাদয় যদি এটা করে থাকে তাইলে তাদেকে নিয়েই জানি থাকে আমরা তার কাছে যাবো না, নির্বাচনের সময় যুদ্ধ করি আমরা আর পদপদবী পাবে ওরা? কিভাবে মেনে নেয়া যায় এগুলা? জুয়েল আল হাসান নামে একজন লিখেছেন, এইবাবে চললে ভাই আওয়ামীলীগের রাজনীতি আর খাটি মুজিব প্রেমী পাওয়া যাবে না। জেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক এম. আকতার হামিদ এই প্রতিবেদককে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনে কোন অনুপ্রেবেশ কারির স্থান হবে না।
ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে কিভাবে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হয়। আর এখন পর্যন্ত কেন বহিষ্কার হয় না, আমি বুজতে পারছিনা। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রবিন হাসান রকি সাংবাদিকদের জানান, আমি কখনো ছাত্রদলের সাথে জড়িত ছিলাম না। ছাত্রদলের প্যাডের কমিটিতে আমার নাম দেখানো হচ্ছে তা একটি ভুয়া ও সাজানো নকল করা কাগজ। মুলত আমার বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমার চাচা আতাউর রহমান বিএনপি করলে তো আমি বিএনপি করিনা। আমি ছাত্রলীগের সাথেই জড়িত ছিলাম। জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রবিন হাসান রকি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে হাবিবকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল প্রাথমিকভাবে চাইছেন। কিন্তু রকির বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ ওঠায় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com