চৌহালীতে যমুনার ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসত ভিটে
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চৌহালীর যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলায় প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । হুমকীর মুখে রয়েছে স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা, মসজিদ, হাট বজার,রাস্তা-ঘাট,আবাদী জমি সহ বহু স্থাপনা। ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে, কয়েকটি বাড়ি ও জিও ব্যাগ। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর ভেঙ্গে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার আয়ুব আরকাটি,রুহুল আরকাটি,সোকিনা,সালমা মাষ্টার,রবিউল ইসলাম ভুট্্র, রাশেদুল মাষ্টার,ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, জানায়, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারনে গত কয়েকদিন যাবত জেলার চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া, খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের রেহাইপুখুরিয়া, চরনাকালিয়া, চরবিনানই, চরসলিমাবাদ,মিটুয়ানি,খাষপুখুরিয়া গ্রামে তীব্র নদী ভাঙ্গন চলছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে মিটুয়ানি হাইস্কুল,প্রাইমারি,বাজার,মসজিদ,বাড়িঘড়। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ফসলী জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে ভুক্তভোগিরা। বাড়িঘর হারিয়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। সহায় সম্বল হারিয়ে নিশ্ব এসব মানুষ ছেলে মেয়ে নিয়ে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন, এই মুহুর্তে যদি ভাঙ্গন রোধের কাজ না করা হয় তাহলে বর্ষা মৌসুমেই বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বাকি অংশটুকু নদী গর্ভে বিলিন হবে যাবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর দক্ষিন এলাকায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙ্গন রয়েছে। এই জায়গায় ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে এটি একনেকে অনুমোদন হবে বলে আমরা আশা করছি। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে স্থায়ী কাজ শুরু করবো। তখন আর নদী ভাঙ্গন থাকবে না।