বেলকুচি চরাঞ্চলের মানুষের ঘোড়ার গাড়ীই একমাত্র ভরসা
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০৫:২৫ অপরাহ্ন

  

বেলকুচি চরাঞ্চলের মানুষের ঘোড়ার গাড়ীই একমাত্র ভরসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বেলকুচি
২০-০৪-২০২১ ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
বেলকুচি চরাঞ্চলের মানুষের ঘোড়ার গাড়ীই একমাত্র ভরসা
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার সুবিধা ও উন্নয়ন বঞ্চিত চরাঞ্চলের বাহনের মাধ্যম একমাত্র ঘোড়ার গাড়ী। চরাঞ্চলের মানুষের নিকট এখন ঘোড়ার গাড়ীর কদর বেড়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন যমুনা নদীর চরে কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের মালামাল পরিবহনের বাহন হিসেবে একমাত্র সম্বল ঘোড়ার গাড়ী। চরাঞ্চালে খানাখন্দে ভরপুর বালিময় রাস্তায় যেখানে ভ্যান, রিক্সা, ট্রাক যাওয়া অসম্ভব সেই সকল রাস্তায় জনপ্রিয় বাহন হিসেব ঘোড়ার গাড়ীর অনেক কদর বেড়েছে। বেলকুচি উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বেলকুচি সদর ও বড়ধুল ইউনিয়নের সবটুকুই চর। এসব চরে সিংহভাগ রবি শস্য উৎপাদন হয়। পাট, আলু, বাদাম, ভূট্টা, গম, ডাল এসব অর্থকরী ফসল পরিবহনের একমাত্র বাহন হিসাবে ঘোড়ার গাড়ী একমাত্র ভরসা। কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল ঘোড়ার গাড়ীতেই হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। আর ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্যে ফসল বিক্রি করতে হয় না। উপজেলার দুই ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকরা একদিকে যেমন উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন তেমনি কৃষি উপকরণ সার বীজসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করে ঘোড়ার গাড়ি করেই নিয়ে যাচ্ছেন। ঘোড়ার গাড়ির মালিকরাও অর্থ উপার্জন করে সুন্দর ভাবে সংসার চালাচ্ছে। ভেন্নাবাড়ী চরের ঘোড়ার গাড়ী চালক শাহদাত হোসেন জানায়, প্রতিদিন গাড়ী দিয়ে গড়ে ৮ থেকে ৯ শত টাকা উপার্জন করা যায়। ঘোড়ার পিছনে দৈনিক দেড় থেকে দুইশত টাকা ব্যয় করতে হয়। বাকি টাকা দৈনিক আয় হয়ে থাকে। বড়ধুল চরের ঘোড়ার গাড়ি চালক বাবলু জানান, শ্রমিকের কাজ করে সংসার ঠিকভাবে চালানো সম্ভব হতো না। এখন ঠিকভাবে সংসার চালিয়ে আয় করছি ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে। দৈনিক যে রোজগার হয় তাতে আর কারো মুখাপেক্ষি হতে হয় না। ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ ও জামা-কাপড় না চাইতেই দিতে পারছি। ভাঙ্গাবাড়ী চরের ঘোড়ার গাড়ি চালক কিসমত আলী জানায়,যেখানে ইঞ্জিন চালিত কোন যানবাহন চলছেনা সেখানেও ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে নির্বিঘ্নে ফসলাদি পরিবহন করছি। এ কারণে চরের মানুষের কাছে ঘোড়ার গাড়ী জনপ্রিয় পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। এ দু'টি ইউনিয়নের চরে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি ঘোড়ার গাড়ী পরিবহনের কাজে ব্যবহার হয়। বড়ধুল চরবেল চরের কৃষক শহিদুল ইসলাম, সেরাজুল জানায়, ঘোড়ার গাড়ীতে ধান, পাট, গম, ভুট্টা ও শাকসব্জি বহন করে সরাসরি বাজারে নিয়ে বিক্রি করছি। তাতে ভালো দামও পাচ্ছি। ফড়িয়া ব্যরসায়ী আর আমাদের ঠকাতে পারছেনা। মোট কথা ঘোড়ার গাড়ী এখন চরাঞ্চলের পরিবহনের একমাত্র ভরসা।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বেলকুচি ২০-০৪-২০২১ ১২:০৮ পূর্বাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে
এবং 695 বার দেখা হয়েছে।

পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ
Loading...
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বশেষ প্রকাশিত

  

  ঠিকানা :   অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
  মোবাইল :   ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
  ইমেল :   info@sirajganjkantho.com