শিরোনামঃ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বেলকুচি ২২-০২-২০২১ ০৫:০৩ অপরাহ্ন |
এমবিবিএস পাশ না করেই হয়েছেন ডাক্তার। রিতিমত ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে ঝলমলে চেম্বার খুলে দিচ্ছেন চিকিৎসা। গ্রামীন জনপদের মানুষ তাদের পদপদবী ও ঝলমলে চেম্বার দেখে আর্কষিত হয়ে চিকিৎসা সেবার নামে নিচ্ছেন অপচিকিৎসা। এমনি নিত্যদিনের চিকিৎসার নামে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ধুকরিয়াবেড়া ইউনিয়ন সহ পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ। সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া জমিদার প্লাজার নিচ তলায় রয়েছে মা মেডিক্যাল হল ও তিশা মেডিক্যাল এন্ড অপটিক্যাল সেন্টার নামে দুটি চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠান দুটির একজন হলো কথিত ডাক্তার আব্দুল জব্বার আরেকজন তাহাজ্জত হোসেন।
নিজেদের ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ঘটাতে নিজের নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করছেন। যার ফলসরুপ স্থানীয় সহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আব্দুল জব্বার ও তাহাজ্জত হোসেনের সাথে এসম্পর্কে কথা বললে তারা এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা দুজন মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট কলেজ থেকে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স করে এসেছি । তাছাড়া সবাই তো দেখি নামের আগে ডাঃ বসিয়ে থাকেন। বিধায় আমরা আমাদের নামের আগে ডাক্তার বসিয়েছি। এতে দোষের কি আছে? এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশিদ শামীম বলেন, আমরা জনগের স্বার্থ নিয়ে সবসময় কাজ করে থাকি। তারা যে কাজটি করছেন এটি উচিত নয়। এধরনে কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো। বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোফাখখারুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, এমবিবিএস কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ তার নামের আগের ডাঃ পদবী বসাতে পারবে না। এটা আইন বহিভূত কাজ।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com