শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় পানি না থাকায় সংকটে বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর
১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:০৪ অপরাহ্ন

  

শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় পানি না থাকায় সংকটে বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর

দিলীপ গৌর
১৬-০২-২০২১ ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় পানি না থাকায় সংকটে বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর

শাহজাদপুর প্রতিনিধি : শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীতে নাব্যতা অন্যান্য বছরের চেয়ে কম থাকায় বর্তমান সময়ে অনুযায়ী পানির ড্রাপট না থাকায় শাহজাদপুরের অবস্থিত উত্তরবর্ষের সর্ববৃহৎ বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী রাসায়নিক সার ও পণ্যবাহী জাহাজ সাড়ে ৮ ফিট ড্রাপট নিয়ে চ্যানেলে ঢুকতে পারছে না।

পূর্ণলোড করা জাহাজগুলি তাই  চলাচল করতে পারছে না স্বাভাবিকভাবে। ফলে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর মাস দুই আগে থেকেই ডুবচরে আটকে যাওয়ার ভয়ে বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর মুখি যমুনা নদীর পাটুরিয়া, দৌলদিয়া, মোল্লার চর, ব্যাটারির চর, পেচাকোলা, মোহনগঞ্জ ও নাকালিয়া এলাকায় অসংখ্য ডুবচর জেগে ওঠে।

লাইট্যাসে করে মালামার পরিবহন করতে হয়েছে ওই সকল জাহাজের। এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার হলে কর্তৃপক্ষে ডুবচরগুলো ড্রেজিং করার পর ডুবচরের ভয় আর নেই। কিন্তুযমুনা নদীর এই অঞ্চলে বর্তমান মৌসুমের চেয়েও নাব্যতা আরও কমে গেছে। যার ফলে জাহাজ চলাচলে ৭ ফিট ড্রাপটের বেশি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

বাঘাবাড়ি বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান জানান, আড়িচা-নগরবাড়ি রুটে ফেরি চলাচলের জন্য সেখানে ড্রেজিং কাজ চলছে। এ কারণেই বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর চ্যানেলে সামরিকভাবে ড্রেজিং করা হলেও ১৬/১৭ কিলোমিটার পথ নতুন করে ড্রেজিং করা প্রয়োজন। আড়িচা-নগরবাড়ি রুটের ড্রেজিং শেষ হলে বাঘাবাড়ি বন্দরের এই চ্যানেলের ড্রেজিং করা হবে বলে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে।

বর্তমানে বাঘাবাড়ি বন্দরে আসা জাহাজগুলি বাঘাবাড়ি বন্দরের অদূরেই পণ্য আনলোড করে ৭ ফিট ড্রাপট নিয়ে তাদের আসতে হচ্ছে। এতে করে তাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে বলে পণ্য পরিবহণকারীরা জানান। জাহাজ থেকে মাল খালাশকারী শ্রমিকরা জাহাজ কম আসার কারণে শুষ্ক এই মৌসুমে বেকার হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে, ইজারাদার আব্দুস সালাম জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ আমাদের বন্দরে জাহাজ ঢুকতে না পারায় বাঘাবাড়ি বন্দরকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য বেড়া উপজেলায় একটি অবৈধভাবে বন্দর গড়ে তোলার পাইতারা করছে। এতে করে সরকার ব্যাপক রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে, সাথে লোকসান গুনতে হবে আমাদেরও। বাঘাবাড়ি বন্দর দ্বিতীয় শ্রেণির বন্দর হওয়ার কারণে অনেক উন্নয়নের বিষয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রতিবছর উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার জন্য ইরি-বোরো মৌসুমে ব্যবহৃত রাসায়নিক স্যার, তেল, এলএসডির খাদ্য, কয়লাসহ নানা ধরনের প্রায়  ৫ থেকে ৬ লক্ষ টন মালামাল এই বন্দর দিয়ে উঠানামা করে। মালামাল রাখার জন্য নেই কোন সেট। যেকারণে খোঁলা আকাশের নিচে প্রায় সারা বছরই পাহাড় ন্যায় স্তপ করা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষ করে পড়ে থাকে রাসায়নিক স্যার। ঝড়,বৃষ্টি, রোধে বন্দরে কাজ করার লেবারদের নেই কোন আশ্রয়স্থল।


দিলীপ গৌর ১৬-০২-২০২১ ০৫:৫৩ অপরাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে
এবং 426 বার দেখা হয়েছে।

পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ
Loading...
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বশেষ প্রকাশিত

  

  ঠিকানা :   অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
  মোবাইল :   ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
  ইমেল :   info@sirajganjkantho.com