উল্লাপাড়ায় নদীর অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে করতোয়া বুকে ধান চাষ

উল্লাপাড়ায় নদীর অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে করতোয়া বুকে ধান চাষ
উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী গুলো এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। আর সেই সব নদীর বুকে ধান ও সবজী চাষাবাদ করছে কৃষক।পলি জমে ভরাট হবার কারনে এখন অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এসব নদীগুলো। এর মধ্যে রয়েছে,।করতোয়া,গোহালা,স্বরসতি,জবজোপিয়া, বিলসৃর্য,মুক্তাহারসহ অসংখ্য খালবিল। সরেজমিনে দেখা যায় ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর বুকে ধান,গম,ভুট্টা মিষ্টিকুমড়া সহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি আবাদ করছে স্থানীয়রা। একই ফলে নদী ঘীরে যারা জীবিকা চলতো।এখন তাদের জীবিকা থেমে যাচ্ছে । এসময় কথা হয় স্থানীয় এক মৎস্য জীবি অনুকুল হলদারের সাথে, তিনি জানান আগে নদীতে প্রচুর পানি ছিলো। এবং নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেতো । কিন্তুু কালের বিবর্তনে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। নদীতে স্রোত প্রবাহ নেই বললেই চলে । এর কারণে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । নদী এখন ভরাট হয়ে যাবার কারণে নদীতে আর পানি থাকে না। করতোয়া নদীর সোনতলা ব্রিজের ঠিক নিচেই ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন পাইকপাড়া গ্রামের ইউনুছ প্রারামানিক তিনি বলেন,এই সোনতলা ব্রীজের এলাকাজুড়ে প্রায় ৩০ বিঘা নদীর বুকে এখন হচ্ছে ধান চাষাবাদ হচ্ছে । ৫-৬ বছর আগে কয়েক জন শুধু আমন ধান লাগাতো।কিন্তুু এখন এই এলাকায় নদীর বুকে রোবো ধানের আবার শুরু হয়েছে। আগে নদীতে যেখানে অনেক বড় বড় পাল তোলা নৌকা চলতো এখন  সেখানে শুকিয়ে চর পরে থাকে। তবে এখানে ধান চাষ করে অনেক কৃষকই সাবলম্ভী হচ্ছে। একই গ্রামের বেল্লাল হোসেন বলেন দিনে দিনে নদী তার যৌবন হারাতে বসেছে। আগে যেখানে পানিতে থইথই করতো এখন সেখানে হয় বোরো ধান সহ নানা ধরনের ফসলী আবাদ। আগে একসময় আমরা দেখতাম এই সব নদীতে জেলেরা জাল ফেলে, বোয়াল,কালত,রুই,শোল,চিংড়ি, শিং,পুটি,মলা ঢেলা মাছ সহ নানা রকমের মাছ ধরতো। এবং এখানো নৌকা যোগে পাড়াপার হতো কিন্তুু বর্তমান সময়ে হেঁটেই পাড় হওয়া যায়। তবে এসব এখন শুধুই স্মৃতি এগুলো আর চোখে পড়বে না। এবিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন নদীর বুকে বোরো ধান রোপনের কথা স্বীকার করে বলেন, নদীমাতৃক আমাদের বাংলাদেশ, অসংখ্য নদী-নালা রয়েছে এদেশে। তবে বর্তমান সময়ে নদীর তলদেশ ভরাট হবার কারণে নদীগুলো তার রূপ হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই সুযোগে কৃষকরা সেখানে আবাদ শুরু করেছেন। এতে কৃষকরা উপকৃত হলেও আমরা হারাচ্ছি বাংলার অপরূপ দৃশ্য।