শিরোনামঃ
![]() ২৩-১১-২০২০ ০২:২৫ অপরাহ্ন |
আশরাফুল ইসলাম রনি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যত্রতত্র পুকুর খনন, খেসারত দিচ্ছেন কৃষকেরা। এ উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় নভেম্বর মাসে শেষ হয়ে গেলেও, রয়েছে জলাবদ্ধতা। আবার জলাবদ্ধতার কারনে মাঠের মধ্য আগাছায় ভরে গিয়েছে। এতে কৃষকেরা গুনতে হচ্ছে দ্বীগুন টাকা।
দেখা যায়, উপজেলার তাড়াশ সদর, সোলাপাড়া, সোনাপাতিল, বোয়ালিয়া, মাধবপুর, শ্রীকৃঞ্চপুর, মাগুড়া, ঘরগ্রাম, খুটিগাছা, খালখুলা, ভাদাস, মহিষলুটিসহ বেশকিছু গ্রামের ফসলি মাঠগুলোতে পানি থাকার ফলে আগাছা ভরে গিয়েছে। আর আগাছাগুলো পরিস্কার করতে কৃষকদের বাড়তি মজুরী দিয়ে পরিস্কার করাতে হচ্ছে।
মাগুড়া বিনোদ গ্রামের কৃষক শাহিনুর রহমান বলেন, এক সময়ের ধানী জমি এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। পুকুর কাটার ফলে তার ৩০বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন পানি নেমে গেলেও জমির মধ্য শ্যাকশ্যাকে পানি থাকায় ব্যাপক পরিমান আগাছা হয়েছে। এ জন্য বিঘা প্রতি এক হাজার ৫শত থেকে ২ হাজার করে বাড়তি খরচ হচ্ছে পরিস্কার করানোর জন্য। আবার সরিষা আবাদ করা হবে না।
কৃষক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, জলাবদ্ধতার কারনে মানববন্ধন ও সভা করে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপি দেয়া হয়েছে। তারপরেও ফের বিভিন্ন এলাকার পুকুর খনন শুরু হয়েছে। ফসলি জমিতে গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় একদিকে ফসলি জমি শেষ হচ্ছে অপরদিকে জলাবদ্ধতার কারনে কৃষক ধান আবাদে পিছিয়ে যাচ্ছে। আবার আগাছা পরিস্কার করতে বাড়তি খরচ হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, যত্রতত্র পুকুর খননের জন্য ফসলি জমিগুলোতে পানি জমে থাকার ফলে সরিষা আবাদ কমছে। এছাড়া আগাছা পরিস্কারের জন্য কৃষকের বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবাউল করিম জানান, যত্রতত্র পুকুর খননের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঠিকানা : অনামিকা কনকর্ড টাওয়ার, বেগম রোকেয়া স্মরনী, তৃতীয় তলা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : info@sirajganjkantho.com